তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত প্রথাগত পরীক্ষা থাকছে না

নিজস্ব প্রতিবেদক,১৬ জানুয়ারী:

প্রাক-প্রাথমিক থেকে উচ্চমাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাব্যবস্থায় বড় পরিবর্তন আসছে। শিক্ষার্থীরা বিজ্ঞান না কি অন্য শাখায় পড়বে, সেটা ঠিক হবে একাদশ শ্রেণিতে। এর আগে ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত সবাইকে অভিন্ন ১০টি বিষয় পড়তে হবে।

বইয়ের সংখ্যাও এখনকার চেয়ে কমবে। বিষয়বস্তু বদলাবে। আর এসএসসি পরীক্ষা হবে শুধু দশম শ্রেণির পাঠ্যসূচির ভিত্তিতে। একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণিতে দুটি পাবলিক পরীক্ষা হবে, যার ভিত্তিতে এইচএসসির ফল প্রকাশ করা হবে।

এমন প্রস্তাব ও পরিকল্পনা নিয়ে প্রাক্-প্রাথমিক থেকে উচ্চমাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাক্রম পরিমার্জনের কাজ করছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। পরিমার্জিত শিক্ষাক্রম অনুযায়ী প্রথম, দ্বিতীয় ও ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা আগামী বছর নতুন পাঠ্যবই পাবে। পর্যায়ক্রমে অন্যান্য শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রমে নতুন বই দেওয়া হবে। আগামী মার্চের মধ্যে শিক্ষাক্রম চূড়ান্ত করে পর্যায়ক্রমে ২০২৫ সালে গিয়ে উচ্চমাধ্যমিক পর্যন্ত পুরোপুরি শিক্ষাক্রম বাস্তবায়িত হবে।

এনসিটিবির সূত্রমতে, তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত প্রথাগত কোনো পরীক্ষা থাকবে না। এনসিটিবির সদস্য (প্রাথমিক শিক্ষাক্রম) অধ্যাপক এ কে এম রিয়াজুল হাসান শিক্ষাবার্তাকে বলেন, শিক্ষার্থীরা যাতে সক্রিয় শিখনের (একটিভ লার্নিং) মাধ্যমে নির্ধারিত দক্ষতাগুলো অর্জন করতে পারে, সেই বিষয় মাথায় রেখে শিক্ষাক্রম পরিমার্জন হচ্ছে।

তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত বিদ্যালয়ে ধারাবাহিক মূল্যায়ন হবে। এই চিন্তা থেকে হাতে-কলমে শেখানো যায় এমনভাবেই বইগুলো হবে। প্রাথমিক স্তরে বইয়ের নামেও পরিবর্তন আনার কথা ভাবা হচ্ছে। যেমন গণিত বইয়ের নাম হতে পারে ‘গণিতের মজা’।

যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান আমিরুল আলম খান শিক্ষাবা্তাকে বলেন, যাঁরা পুরো শিক্ষাব্যবস্থাটা বোঝেন, তাঁদের দিয়ে যুগের উপযুক্ত শিক্ষাক্রম তৈরি করতে হবে।

Facebooktwitterredditpinterestlinkedinby feather
Image Not Found

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।