ঢাবি শিক্ষার্থী নির্যাতনে ক্ষমা চাইলো পুলিশ

jhenaidahঝিনাইদহ প্রতিনিধি : ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে বিনা অপরাধে থানা হাজতে ২২ ঘণ্টা আটকে রেখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালযের ছাত্র জাহাঙ্গীর আলমের ওপর নির্যাতন চালিয়েছে পুলিশের সহাকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) তৌহিদুর রহমান। ঘটনার জানাজানি হলে পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশের ওই কর্মকর্তা জাহাঙ্গীরের পরিবারের কাছে ক্ষমা চেয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছে বলে দাবি করেছে ভুক্তভোগীর পরিবার।

একই সঙ্গে ছেলেকে ছাড়িয়ে নিতে তার বাবার কাছ থেকে নেয়া ঘুষের টাকা ফেরত দেন পুলিশ কর্মকর্তা তৌহিদ। তবে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ তার বিরুদ্ধে এখনো কোনও ব্যবস্থা নেয়নি।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত এএসআই তৌহিদুর গত দুদিন ধরে বিভিন্ন মহলে দৌঁড়ঝাপ শুরু করে। ঘটনা ধামাচাপা দিতে প্রথমে জাহাঙ্গীর ও তার পরিবারকে ভয়ভীতিও দেখানো হয়। কিন্তু ওই ছাত্রের পরিবার শক্ত অবস্থানে থাকার কারণে পরে তেমন কোনো সুবিধা করতে না পেরে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের কাছে ধরণা দিয়ে ঘুষের টাকা ফেরত দিয়ে বিষয়টি সমাধান করেন।

এ ব্যাপারে ঢাবি শিক্ষার্থী জাহাঙ্গীর আলমের বাবা হকার মিরাজুল ইসলাম বলেন, খবর প্রকাশিত হওয়ার পর ওই পুলিশ কর্মকর্তা বিভিন্ন স্থানে দেন-দরবার করেন। অবশেষে বৃহস্পতিবার রাতে এমপি আনার সাহেবের উপস্থিতিতে বিষয়টি সমাধান হয়। পুলিশ আমার ছেলের কাছে দুঃখ প্রকাশ করে ক্ষমা চেয়েছে এবং ঘুষের টাকা ফেরত দিয়েছে। এ জন্য আমি মিডিয়া ও এমপি সাহেবের প্রতি কৃতজ্ঞ ও সন্তুষ্ট।

ঘটনার ব্যাপারে ঝিনাইদহ-৪ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য ও কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল আজীম আনার বলেন, বাড়ি থেকে পালিয়ে যাওয়া একটি মেয়েটিকে উদ্ধারের জন্য তাকে পুলিশ আটক করেছে। হয়তো মারধর করেছে। তবে মেয়েটিকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। উভয় পরিবারকে এক জায়গায় করে বিষয়টি সমাধান করে দিয়েছি।

স্থানীয় প্রভাবশালী এক পরিবারের মেয়েকে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত ২৮ অক্টোবর গভীর রাতে কালীগঞ্জ উপজেলার পাইকপাড়া গ্রামের শ্বশুরবাড়ি থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র জাহাঙ্গীর আলমকে আটক করেন থানা পুলিশের এএসআই তৌহিদুর রহমান। পরে থানায় এনে হাত-পা বেঁধে তার উপর নির্যাতন চালানো হয়।

Facebooktwitterredditpinterestlinkedinby feather
Image Not Found

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।