ঢাবিতে সেকেন্ড টাইম ভর্তি পরীক্ষায় বসার সুযোগ চান

Image

এবারও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) সেকেন্ড টাইম ভর্তি পরীক্ষায় বসার সুযোগ চান ভর্তিচ্ছুরা। এ নিয়ে নিজেদের দাবির পক্ষে সামাজিক যোগাযোগের বিভিন্ন মাধ্যমে বেশ সরব রয়েছেন তারা।

তাদের দাবি, ভর্তি পরীক্ষায় সেকেন্ড টাইমারদের বসার সুযোগ দিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের মান কমে যাবে, এমন তো হওয়া কথা নয়। তাছাড়া অন্য বিশ্ববিদ্যালয়েও দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষায় বসার সুযোগ রয়েছে।

আরো পড়ুন: প্রাথমিক ও ব্যাংকের পরীক্ষা একই দিনে, বিপাকে চাকরিপ্রত্যাশীরা

তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষা বসার সুযোগ থাকবে কিনা এ বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি। তবে এবারও না হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি রয়েছে বলে মনে করছেন তারা।

২০১৪ সালের ১৪ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি কমিটির সাধারণ সভা শেষে তৎকালীন উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেছিলেন, ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় শুধু ওই বছর এইচএসসিতে উত্তীর্ণরা অংশ নিতে পারবে। পুরাতনরা পারবে না।

এ সিদ্ধান্তের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরে তিনি আরও বলেছিলেন, দুইবার ভর্তি পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ দিলে অসম প্রতিযোগিতা হয়। কারণ দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ দিলে দেখা যায়, একজন শিক্ষার্থী এক বছর ধরে ভর্তি পরীক্ষার জন্য পড়ে আর অন্যজন উচ্চ মাধ্যমিকে পাস করেই ভর্তি পরীক্ষায় বসে।

অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন আরও বলেছিলেন, আবার অনেক শিক্ষার্থী প্রথমবার কোনো কোনো প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হয়ে পুনরায় ভর্তি বাতিল করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আসে। ফলে যেখানে প্রথমবার ভর্তি হয়েছে, সেখানকার আসন ফাঁকা হয়ে যায়।

সেকেন্ড টাইমের বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. জিয়া রহমান  জানান, আমাদেরকে দ্বিতীয়বার ভর্তির সুযোগ দেওয়ার ব্যাপারে এখনো কোনো ধরনের নির্দেশনা দেওয়া হয়নি। তবে চলতি সপ্তাহে একটি সভা রয়েছে। সেখানে ভর্তি পরীক্ষার দিনক্ষণসহ সংশ্লিষ্ট সবকিছুর বিষয়ে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

এর আগে ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল  এক সাক্ষাৎকারে বিশ্ববিদ্যালয়ে একক ভর্তি এবং দ্বিতীয়বার ভর্তির সুযোগ নিয়ে বলেন, সরকার, ইউজিসি এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয় যদি মনে করে যে একক ভর্তি পরীক্ষা শিক্ষার্থীদের জন্য ভালো হবে, কোনো ধরনের সমস্যা হবে না। তাহলে আমরা সেটা মেনে নিবো। আর এই একক ভর্তি পরীক্ষায় যদি দ্বিতীয়বার ভর্তির সুযোগ থাকে এবং সেটা যদি শিক্ষার্থীদের ভালোর জন্য হয় সেটাও আমরা মেনে নেবো। তবে আমি মনে করি এ ধরনের সিদ্ধান্ত ভেবেচিন্তে নেওয়া উচিত।

Facebooktwitterredditpinterestlinkedinby feather
Image Not Found

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।