টেন্ডুলকার-কোহলি ‘বিতর্কে’র শেষ টানলেন তাঁরাই

চলমান টি-টোtendulkar-kohliয়েন্টি বিশ্বকাপটায় যেন স্টেডিয়ামের বাইরের মাঠ হয়ে উঠেছে টুইটার। কত কী-ই না দেখা গেল এই টুইটারে! ঝগড়া-বিবাদ-প্রশংসা-মীমাংসা সব। গত কদিনে সেই টুইট-গ্যালারিতে সবচেয়ে বেশি কিচিরমিচির বিরাট কোহলিকে নিয়ে। এখন তো এমন বিতর্কও চলছে, টেন্ডুলকার সেরা নাকি কোহলি! মজার ব্যাপার হলো, টুইটার দিয়েই এই বিতর্কের ইতি টেনে দিয়েছেন ভারতের সাবেক ও বর্তমান এক নম্বর ব্যাটসম্যান।

কেউ কেউ বলছেন, ইতিমধ্যেই ‘লিটল মাস্টার’কে ছাড়িয়ে গেছেন কোহলি। অনেকে আবার কোহলির প্রশংসা করলেও এত জলদিই দুজনকে একই কাতারে ফেলতে নারাজ। কোহলি যেন এতে লজ্জাই পেয়েছেন। এখনই টেন্ডুলকারের সঙ্গে তুলনা! জিভে কামড়!
টেন্ডুলকার কোহলিকে নিয়ে টুইট করেন, ‘বাহ কোহলি! স্পেশাল-ই বটে। দারুণ এক জয়, দারুণ এক লড়াই।’ একদম প্রাণখোলা প্রশংসা। একদিন পরে টুইটটি চোখে পড়ে কোহলির। যাকে সত্যিকারের ‘গুরু’ মানেন, তাঁর কাছ থেকেই এমন প্রশংসা! আপ্লুত হওয়াই স্বাভাবিক। তবে কোহলিও যে এখন অনেক পরিণত তা বুঝিয়ে দিলেন সেই টুইটের প্রতিক্রিয়ায়। খুব সমীহ করেই লিখলেন, ‘ধন্যবাদ শচীন পাজি। স্পেশাল হয়তো ছিল, কিন্তু আপনার মতো নয়।’
ভারতের ড্রেসিংরুমে সিনিয়রদের সম্মান করে ‘পাজি’ বলা হয়। বড় ভাই টেন্ডুলকার যে এমন অনেক স্পেশাল ইনিংস খেলেছেন, সেটাই মনে করিয়ে দিলেন কোহলি। তবে টুইটের পরস্পর পিঠ চাপড়ানোর শেষটা করলেন টেন্ডুলকারই। ঠিক যেরকম সৌন্দর্য আর স্নিগ্ধতা ছড়িয়ে ব্যাট হাতে বল মাঠ ছাড়া করতেন, তেমনভাবেই এই বিতর্ক টাকেও অন্য গ্রহে পাঠিয়ে দিতে চাইলেন। ফিরে গেলেন ২২ বছর আগে, যেদিন তিনি ভারতের হয়ে প্রথম ‘ওপেন’ করেছিলেন।
১৯৯৪ সালে অকল্যান্ডে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সেদিন টেন্ডুলকারও করেছিলেন ৮২ রান। আর কাকতালীয়ভাবে সেদিনও ছিল ২৭ মার্চ। সব মিলিয়েই তিনি লিখলেন, ‘২৭ মার্চ নিয়ে প্রচুর বার্তা পাচ্ছি, অকল্যান্ড আর মোহালি! দুটি জায়গাতেই শেষ হাসি হেসেছে ভারত। আর এটাই সত্যিকারের ‘স্পেশাল’।
টেন্ডুলকার ও কোহলি; কেউ কাউকে ছাড়িয়ে যাননি। যাবেন না। বরং সত্যিটা হলো, দুজনই দুই যুগের নায়ক।

Facebooktwitterredditpinterestlinkedinby feather
Image Not Found

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।