জালভোট ও কারচুপির মধ্য দিয়ে হরিণাকুণ্ডুর দৌলতপুর ইউনিয়নের উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত

আওয়ামী লীগ সমর্থিতarrest প্রার্থী ৬৩ ভোটে বিজয়ী

আহমেদ নাসিম আনসারী,ঝিনাইদহ প্রতিনিধি ১২ মার্চ -২০১৪ :ব্যাপক জালভোট ও কারচুপির মধ্য দিয়ে বুধবার ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী সাবদার হোসেন তালা প্রতীক নিয়ে ৫ হাজার ৯ শত ৩২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দী বিএনপি সমর্থিত পারুলা হোসেন আনারস প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৫ হাজার ৮ শত ৬৯ ভোট। বুধবার সন্ধ্যায় হরিণাকুণ্ডু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিসে ৯টি কেন্দ্রের ভোট গণনা শেষে বেসরকারী ভাবে এই ফলাফল ঘোষণা করা হয়।
সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে একটানা বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ চলে। ৯টি কেন্দ্রে ইউনিয়নের ১৬ হাজার ৩শ’ ২৮ জন ভোটারের মধ্যে ১২ হাজার ১শত ৩৪ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য ভোটকেন্দ্র গুলোতে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়। নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট, র‌্যাব, পুলিশ, আনসার সদস্যরা দায়িত্ব পালন করেন। তবে ভোটকেন্দ্রগুলোতে পুরুষ ভোটারের উপস্থিতি ছিল খুবই কম। এদিকে নির্বাচনে রামচন্দ্রপুর, দখলপুর, গোবরাপাড়া, ফতেপুর ও রিশখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে থেকে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীর পোলিং এজেন্ট বের করে দেয় আওয়ামী লীগ কর্মীরা। পরে প্রিজাইডিং অফিসারদের যোগসাজসে দিয়ে ব্যাপক ব্যাপক জালভোট দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। ভোটগ্রহণের শুরুতেই রিশখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে জালভোট দেওয়ার সময় পুলিশ দুইজনকে আটক করলেও কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার খাদেমুল ইসলাম তাদের ছেড়ে দেন। এরপর ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে আসতে বাঁধা দিয়ে শুরু হয় জালভোট দেওয়ার প্রতিযোগিতা। একেন্দ্রে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী সাবদার হোসেন একহাজারের বেশি ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। দৌলতপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দিতে যাওয়ার পথে করিম হোসেন নামে এক ভোটারকে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীর লোকজন। রামচন্দ্রপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে যেতে বাঁধা দেওয়ার জন্য রাস্তায় ব্যারিকেড সৃষ্টি করে তারা। পরে র‌্যাব সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্তনে আনে। দৌলতপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে বুড়ো মেম্বর ও তার লোকজন জালভোট দিয়ে কেন্দ্র দখল করে নেন। পথে পথে ভোটারদের হুমকি দেন উপজেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক মশিউর রহমান জোয়ার্দ্দার।
নির্বাচনে ব্যাপক হারে জাল ভোট দিয়ে বিএনপি প্রার্থীর বিজয়কে ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে জেলা বিএনপির সভাপতি মসিউর রহমান অভিযোগ করেছেন। তিনি বলেন, প্রতিটি গ্রামে আওয়ামী লীগের ক্যাডাররা হুমকি দিয়ে ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে আসতে বাঁধা প্রদান করে।

প্রসঙ্গত, গত বছরের ২৮ অক্টোবর সন্ত্রাসীদের বোমা হামলায় দিনেদুপুরে দৌলতপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা আবুল হোসেন নিহত হলে চেয়ারম্যানের পদটি শূণ্য হয়।

Facebooktwitterredditpinterestlinkedinby feather
Image Not Found

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।