চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ছাত্রলীগের দফায় দফায় সংঘর্ষের পর হলে তল্লাশি অভিযানে আটক ৩৯ জনকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের নির্দেশে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। এতে বিশ্ববিদ্যালয় বা পুলিশের পক্ষ থেকে কোনো মামলাও দায়ের করা হয়নি।
শনিবার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাটহাজারী মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বেলাল উদ্দিন জাহাঙ্গীর।
অস্ত্র উদ্ধার ও অভিযানে আটকের বিষয়টি মামলার হওয়ার মতো নয় উল্লেখ করে পুলিশের এই দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জাগো নিউজকে বলেন, দুইটি হল থেকে কিছু পরিত্যক্ত দেশীয় অস্ত্র পাওয়া যায়। অভিযানের সময় আটক ৩৯ জনকে যাচাই-বাছাই করে বিশ্ববদ্যালয়ের প্রক্টর আলী আজগর চৌধুরীর নির্দেশে ছেড়ে দেয়া হয়। এসময় অস্ত্রসহ হাতে-নাতে আটকের ব্যাপারটি তিনি নাকচ করে দেন।
এর আগে গতকাল (৯ ডিসেম্বর) দুপুর ১টা থেকে ছাত্রলীগ নিয়ন্ত্রিত শাহ আমানাত ও শাহ জালাল হলে প্রক্টোরিয়াল বডির উপস্থিতিতে পুলিশ তল্লাশি অভিযান শুরু করে। প্রায় তিন ঘণ্টাব্যাপী এ অভিযানে শাহ আমানত হলের ২৫টি ও শাহজালাল হলের ২২টি রুমের তালা ভেঙে ৩০টি রামদা, ১৮টি রড ও ৫ বস্তা পাথরসহ বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ব্যাপারে জানতে যোগাযোগ করা হলে প্রক্টর আলী আজগর চৌধুরী বলেন, অভিযানের সময় আটকদের বিরুদ্ধে সুস্পষ্ট কোনো অভি যোগ পাওয়া যায়নি জানায় হাটহাজারী থানা। পরে আমরা তাদের ছেড়ে দিতে বলি। তাছাড়া হলে অস্ত্র উদ্ধার হলেও কারো কাছ থেকে সরাসরি অস্ত্র পাওয়া যায়নি বলেও জানান তিনি।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মামলা বিষয়টি আমরা পুলিশের সঙ্গে বসে সিদ্ধান্ত নেব। তবে বিশ্ববদ্যালয় থেকে এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে।