চুয়াডাঙ্গায় আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে এমআরপি কার্যক্রম শুরু!

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক পাসপোর্ট অChuadanga-Passport-pic-130-11-14ফিসে মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি) কার্যক্রম শুরু হচ্ছে আজ থেকে।  সোমবার দুপুর ১২টায় সদর হাসপাতাল রোডের ভাড়া বাড়িতে এ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মো. দেলোয়ার হোসাইন। এর ফলে জেলার ১৫ লাখ মানুষকে পাসপোর্টের জন্য পার্শ্ববর্তী কুষ্টিয়া জেলায় আর ছুটতে হবে না। ফলে এলাকার মানুষের আর দুর্ভোগে পড়তে হবে না। এমআরপি সাধারণ পাসপোর্টের জন্য ৩ হাজার টাকা ও জরুরি পাসপোর্টের জন্য ৬ হাজার টাকা চুয়াডাঙ্গা সোনালী ব্যাংকে জমা দিতে হবে।

চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের জন্য প্রতিমাসে সরকারকে তিনতলা বাড়ি ভাড়া বাবদ গুনতে হচ্ছে ৩৩ হাজার টাকা। এজন্য চার মাস আগে কিনতে হয়েছে ১৩ লাখ টাকা মূল্যের নতুন জেনারেটর। এছাড়া রয়েছে, প্রয়োজনীয় চেয়ার টেবিল, ১৪টি কম্পিউটার ও ৯ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর বেতন-বোনাস। গত ২২ মাসে তিনজন পাসপোর্ট কর্মকর্তা বদল হয়েছেন। এরা হলেন- শাহজাহান কবীর, মো. শফিউল্লাহ ও বর্তমানে রয়েছেন মো. রফিকুল ইসলাম।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে ২০০৮ সালে পাসপোর্ট অফিসের কার্যক্রম শুরু হয়। এরপর ২০১৩ সালের মার্চ মাস থেকে চুয়াডাঙ্গায় টাউন ফুটবল মাঠের বিপরীতে একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে আলাদাভাবে পাসপোর্ট কর্মকর্তার অধীনে কার্যক্রম চলতে থাকে। চার মাস পর ওই বাড়ি ছেড়ে দিয়ে বর্তমানে সদর হাসপাতাল সড়কে একটি ১২টি কক্ষের তিনতলা বাড়ি ভাড়া করা হয়। প্রতিমাসে বাড়ি ভাড়া বাবদ গুনতে হচ্ছে ৩৩ হাজার টাকা। এ অফিসে নিয়মিত ৯ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছেন। তারা হলেন, উপসহকারী পরিচালক (ডিএডি) রফিকুল ইসলাম, হিসাবরক্ষক বীরেন্দ্র বাদল পাল, অফিস সহকারী মতিউর রহমান, ডাটা এন্ট্রি অপারেটর শুভ্র কান্তি দেবনাথ (প্রেষণে মৌলভীবাজার), অফিস সহকারী সিরাজান মনিরা (প্রেষণে ঢাকা) ও রেকর্ড কিপার উজ্জ্বল হোসেন (প্রেষণে ঢাকা)। অনিয়মিত কর্মচারী রয়েছেন তিনজন। তারা হলেন, এমএলএসএস ফকরুল ইসলাম, নাইটগার্ড রুহুল আমীন ও ঝাড়ুদার মিজানুর রহমান।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে পাসপোর্ট অফিসের উপসহকারী পরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম জানান, এখন থেকে বর্তমানে বসবাসরত চুয়াডাঙ্গা জেলার সকল নাগরিককে চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে এমআরপি পাসপোর্টের জন্য আবেদনপত্র জমা দিতে হবে। এখান থেকে ছবি তোলা ও ফিঙ্গার প্রিন্ট্রের কাজ শেষে ঢাকা অফিস থেকে এমআরপি পাসপোর্ট তৈরি করে চুয়াডাঙ্গা অফিস থেকে ডেলিভারি দেয়া হবে।

Facebooktwitterredditpinterestlinkedinby feather
Image Not Found

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।