চুয়াডাঙ্গার সেই রাঙা ভাবির শাস্তি চান শিক্ষকরা

Image

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি | ০৯ জুন, ২০২৩:
শিক্ষককে মারধরের ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার আওয়ামী লীগ নেত্রী সামসাদ রানু ওরফে রাঙা ভাবির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন শিক্ষকরা।

চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রবিউল ইসলাম খানকে মারধর ও অপমান করার অভিযোগে মামলায় গতকাল বুধবার গ্রেফতার হয়েছেন ওই নেত্রী।

আরো পড়ুন: এইচএসসি পরীক্ষা শুরু ১৭ আগস্ট, রুটিন দেখুন

শিক্ষককে মারধরের ঘটনার নিন্দা জানিয়ে পাঠানো সমিতির আহ্বায়ক সুধাংশু শেখর তালুকদার বলেন , একটি স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের একজন প্রধান শিক্ষককে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করায় সমগ্র শিক্ষক সমাজকে অপমানের শামিল বলে সমিতি মনে করে। ঘটনাটি অনাকাঙ্ক্ষিত, অনভিপ্রেত ও অত্যন্ত অপমানজনক কাজ। সমাজ গড়ার একজন কারিগরকে অপমান কোনোক্রমেই শিক্ষক সমাজ মেনে নেবে না। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার জোর দাবি জানাচ্ছি এবং দোষী ব্যক্তিকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনার আহ্বান জানাচ্ছি।

সেদিন যা ঘটেছিল:
ওই বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির একজন শিক্ষার্থীর অভিভাবক ওই কথিত নেত্রী। প্রতিষ্ঠানে সরকারি সময়সূচি মোতাবেক অষ্টম থেকে দশম শ্রেণির অর্ধবার্ষিক ও প্রাকনির্বাচনী পরীক্ষা এবং ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির নতুন কারিকুলাম অনুযায়ী ষান্মাসিক সামষ্টিক মূল্যায়ন কার্যক্রম চলছিলো।

ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নতুন কারিকুলাম অনুযায়ী মূল্যায়ন পদ্ধতির ভিন্নতা থাকায় শ্রেণিকক্ষের বাইরে অভিজ্ঞতাভিত্তিক শিখন কার্যক্রমের অংশ হিসেবে মাঠে দলীয় কাজ চলছিলো এবং প্রধান শিক্ষক ওই কার্যক্রম তদারকি করছিলেন। ওই রাজনৈতিক নেত্রী কিছু না বুঝে ক্ষুব্ধ হন এবং প্রধান শিক্ষককে ধাক্কাতে ধাক্কাতে অফিস কক্ষে নিয়ে যান। তাকে চর থাপ্পর মারেন এবং স্যান্ডেল খুলে প্রহার করতে থাকেন। সরকারিকৃত মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতি এ ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জ্ঞাপন করছে।

অভিযুক্ত সামসাদ রানু বলেন, আমার ছেলে ওই স্কুলে পড়ে। আমি ছেলেকে নিয়ে স্কুলে যাই, স্কুলের কক্ষ খোলা না থাকায় রোদের মধ্যে প্রচণ্ড গরমে শিক্ষার্থীদের হাঁসফাঁস অবস্থা। অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার পর অন্যান্য অভিভাবকদের অনুরোধে সাড়ে ১০টার পর প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ে এলে আমি তাকে কক্ষের তালা খোলার কথা বলি। তখন তিনি তালা খোলার কথা অস্বীকৃতি জানান।

তিনি আরও বলেন, পরীক্ষা কখন শুরু হবে সেটা শিক্ষকদের ব্যাপার। শিক্ষার্থীরা কেন এই গরমের মধ্যে মাঠে থাকবে? শ্রেণিকক্ষ খুলে দিলেই তো তারা সেখানে থাকতে পারত। এই তীব্র গরমে কোনো শিক্ষার্থী অসুস্থও হয়ে যেতে পারে। আমি ৮০০ শিক্ষার্থীর অভিভাবক হিসেবে শিক্ষককে বলেছি শিক্ষার্থীদের ভালোর জন্য আপনাকে কক্ষ খুলতে হবে। এরপরই আমি তার জামার কলার ধরে টেনে নিয়ে কক্ষের তালা খুলিয়েছি।

Facebooktwitterredditpinterestlinkedinby feather
Image Not Found

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।