চুমুতে ওজন কমে!

image-25193ডেস্ক: চুম্বনকে সবসময়েই ভালোবাসার প্রতীক হিসেবে ধরা হয়। তবে চুম্বনকে এখন শুধুমাত্র ভালোবাসা প্রকাশের মাধ্যম হিসেবেই নয় বরং ওজন কমানোর একটি পদ্ধতিও বলা যেতে পারে। অবাক হচ্ছেন?! হ্যাঁ, এমনটাই সত্যি৷
আপনাকে এই বিষয়টি অবাক করলেও, প্রতি এক মিনিট চুম্বনে ২-৫ ক্যালোরি পর্যন্ত কম করা সম্ভব যা ঘন্টায় দুই মাইল হাঁটার সমান! এক পাউন্ড কমাতে ৩৫০০ ক্যালরি কমানো প্রয়োজন। অর্থাৎ প্রতিদিন মাত্র ১০ মিনিট এক টানা চুম্বনে বছরে ৫ পাউন্ড বা তারও বেশি ওজন কমিয়ে ফেলা সম্ভব।
চুম্বনের মাধ্যমে ওজন কমাতে ব্যায়ামের মত বিরক্তিকর বা কষ্টকরও লাগে না। অর্থাৎ এটি ক্যালোরি পোড়ানোর একটি সহজ ও উপযুক্ত মাধ্যম। এছাড়াও গাঢ় চুম্বনে মেটাবলিজমের গতিও বৃদ্ধি পায় যা ওজন ঝরাতে সাহায্য করে। অর্থাৎ গভীর গাঢ় চুম্বন হতে পারে ব্যায়ামের বিকল্প।
চুম্বনের সময় হৃৎস্পন্দন বেড়ে যায় যা ক্যালোরি পোড়াতে সহায়ক। এছাড়াও নিয়মিত চুম্বনে মুখের মাংসপেশী সুগঠিত হয়, এবং মুখের বলিরেখা এড়াতে সহায়তা করে। চুম্বনের সময়ে মুখের প্রায় সব মাংসপেশী সচল হয় এবং এই প্রক্রিয়ার সাথে অ্যাড্রেনালিন যুক্ত হয়ে নিউরোট্রান্সমিটার নিঃসরণ করে। এই পুরো প্রক্রিয়াটি খুব দ্রুত ক্যালোরি পোড়ানোর জন্য বিশেষ উপযোগী।
গাঢ় চুম্বন
চুম্বনে কতটুকু ক্যালোরি পুড়বে তা নির্ভর করে সেটা কতটা গাঢ় তার উপরে। হালকা চুম্বনে কম ক্যালোরি ক্ষয় হয়। অনেক সময় ধরে করা গাঢ় চুম্বনের মাধ্যমে বেশি ক্যালোরি ব্যয় করা যায়।
দাঁড়িয়ে চুম্বন
দাঁড়িয়ে চুম্বনে সবচেয়ে বেশি ক্যালোরি ক্ষয় হয়। গবেষণায় দেখা গেছে অন্যান্য পদ্ধতির তুলনায় যারা দাঁড়িয়ে চুম্বন করে অভ্যস্ত তাদের ওজন তুলনামূলক ভাবে অন্যদের থেকে দ্রুত কমে।
গভীর নিঃশ্বাস নিন
বড় করে নিঃশ্বাস নিলেও অনেকটা ক্যালোরি নষ্ট হয়। চুম্বনের সময় এমনিতেও শ্বাসপ্রশ্বাস বেশি নেওয়া হয়। এসময় বুক ভরে বড় বড় নিঃশ্বাস নিলে স্বাভাবিকের চাইতে বেশি ক্যালোরি ক্ষয় হবে৷

Facebooktwitterredditpinterestlinkedinby feather
Image Not Found

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।