ঢাকা : শিক্ষকদের কোচিং বাণিজ্য বন্ধে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দিয়ে চিঠি পাঠিয়েছে সরকার।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর (মাউশি) ২০১২ সালের ‘কোচিং বাণিজ্য বন্ধ নীতিমালা’ অনুসরণে ২৮ এপ্রিল সব অঞ্চলের উপ-পরিচালক, জেলা ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে এ নির্দেশনার চিঠি পাঠিয়েছে। কোচিং বাণিজ্য বন্ধ নীতিমালা অনুযায়ী কোনো শিক্ষক নিজ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীকে কোচিং করাতে পারবেন না।তবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানের অনুমতি নিয়ে অন্য প্রতিষ্ঠানের সর্বোচ্চ ১০ জন শিক্ষার্থীকে প্রাইভেট পড়াতে পারবেন।এক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠান প্রধানকে ছাত্রছাত্রীর তালিকা, রোল, নাম ও শ্রেণি উল্লেখ করে জানাতে হবে।
অভিভাবকদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিষ্ঠান প্রধান শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নির্ধারিত সময়ের আগে বা পরে অতিরিক্ত ক্লাসের ব্যবস্থা করতে পারবেন বলে নীতিমালায় উল্লেখ বলা হয়েছে।
অভিভাবকরা শিক্ষাবার্তাকে জানান, প্রত্যেক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা আবেদনের কপি ছাত্রছাত্রীদের দিয়ে তাদের বাসায় পাঠিয়ে দেয়। বলে তোমরা সই করে নিয়ে আসবে। অথাৎ সকল ছাত্রছাত্রীদের কোচিং/অতিরিক্ত ক্লাস করা অনেকটাই বাধ্যতামূলক। তাই সরকারের এই কোচিং বন্ধের নীতিমালা শিক্ষার্থীদের কোন কাজেই আসবে না বলে জানান।
চুয়াডাঙ্গা ভিজে স্কুলের একাধিক অভিভাবক জানান, আগেই নীতিমালা ঠিক ছিল। শিক্ষকরা ক্লাসে মনোযোগ দিয়ে পড়াত। যে স্যার বেশি ভাল পড়াত তাদের কাছে আমাদের ছেলেমেয়েদেরকে পড়তে দিতাম। কিন্তু এখন কে ভাল পড়াই আর কে খারাপ পড়াই তা দেখার কোন সুযোগ নেই। গড়গড়া সবাইকে অতিরিক্ত ক্লাস করতে হবে। আমাদের ছেলেমেয়েরা ক্লাস করুক কিংবা না করুক অতিরিক্ত ক্লাস অব্যশয় করতে হবে।
মাউশি চিঠিতে কোচিং বাণিজ্য বন্ধে সব অঞ্চল, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাদের বিষয়টি তদারকি করতে অনুরোধ করা হয়েছে।
by