এসএসসি পরীক্ষার নাম পরিবর্তন হতে পারে

Image

দশম শ্রেণির পড়ালেখা শেষে শিক্ষার্থীদের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট বা এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিতে হয়। তবে নতুন শিক্ষাক্রমে এ পাবলিক পরীক্ষার নাম পরিবর্তন করা হতে পারে। নতুন নাম কি হবে তা এখনো চূড়ান্ত করা হয়নি।

জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) জানিয়েছে, ২০২৬ সালে নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী প্রথম পাবলিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। বর্তমানে যারা নবম শ্রেণিতে পড়ছেন তারা এ পরীক্ষায় অংশ নেবেন।

দশম শ্রেণি শেষে যে পরীক্ষা নেওয়া তার নাম কী হবে তা এখনো চূড়ান্ত করা হবে। আগের নাম (এসএসসি) অনুযায়ী পরীক্ষা হবে নাকি নতুন নামে এ পরীক্ষাকে অবহিত করা হবে সে বিষয়ে শিগগিরই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

আরো পড়ুন: হাইস্কুলে কমেছে ১০ লাখের বেশি শিক্ষার্থী

এ বিষয়ে এনসিটিবি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ফরহাদুল ইসলাম বলেন, নতুন শিক্ষাক্রমের মূল্যায়ন পদ্ধতিসহ নানা বিষয় যুক্ত করে একটি খসড়া তৈরি করা হয়েছে। তবে এটি এখনো চূড়ান্ত হয়নি। চূড়ান্ত হওয়ার পর পাবলিক পরীক্ষার নাম কী হবে তা বলা যাবে।

জানা গেছে, এত দিন নবম ও দশম শ্রেণির পাঠ্যসূচির ভিত্তিতে এসএসসি পরীক্ষা হতো। নতুন শিক্ষাক্রমে শুধু দশম শ্রেণির পাঠ্যসূচির ভিত্তিতে হবে এই মূল্যায়ন বা পরীক্ষা। ১০টি বিষয়ের প্রতিটির ওপরই হবে এই মূল্যায়ন।

আরো পড়ুন: নতুন শিক্ষাক্রম: নবম শ্রেণির ভিত্তিতে রেজিস্ট্রেশন

এর মধ্যে একটি অংশের মূল্যায়ন হবে বিদ্যালয়েই শিখনকালীন। বাকি আরেকটি অংশের মূল্যায়ন হবে কেন্দ্রীয়ভাবে শিক্ষা বোর্ডগুলোর অধীন। এখনকার মতোই কেন্দ্র ব্যবস্থাপনা ঠিক করে হবে এই পরীক্ষা। শিখনকালীন ও পাবলিক পরীক্ষার মূল্যায়ন সমান গুরুত্ব পাবে।

মূল্যায়নের খসড়া অনুযায়ী, কেন্দ্রীয়ভাবে যে পরীক্ষা বা মূল্যায়ন কার্যক্রম হবে, তাতে প্রতিটি বিষয়ের মূল্যায়ন হবে এক কর্মদিবসের সর্বোচ্চ পাঁচ ঘণ্টায়। বিরতি দিয়ে হবে এই পরীক্ষা। এর মধ্যে একটি অংশের মূল্যায়নে অনুসন্ধান, প্রদর্শন, মডেল তৈরি, উপস্থাপন, পরীক্ষণ, পরিকল্পনা প্রণয়ন ইত্যাদি বিষয় থাকবে।

মানে হাতে-কলমে শেখার বিষয়টি মূল্যায়ন করা হবে। আরেকটি অংশে থাকবে লিখিত পরীক্ষা। সেখানে লিখিত উত্তরপত্র ব্যবহার করা হবে। লিখিত পরীক্ষার অংশ বিষয়ভেদে এক ঘণ্টা থেকে দুই ঘণ্টাও হতে পারে। সময়টি এখনো চূড়ান্ত হয়নি।

এ বিষয়ে আন্তঃশিক্ষা সমন্বয় বোর্ড সভাপতি এবং ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার বলেন, মূল্যায়নপদ্ধতি এখনো চূড়ান্ত হয়নি। তবে চূড়ান্ত করার বিষয়ে আলাপ–আলোচনা চলছে। আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে একটি ভালো কিছু হবে বলে তাঁরা আশা করছেন।

Facebooktwitterredditpinterestlinkedinby feather
Image Not Found

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।