বাগেরহাট প্রতিনিধি : কোচিং বাণিজ্যের অভিযোগে বাগেরহাট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক মোহাম্মদ আলীকে স্ট্যান্ডরিলিজ করাসহ আরো ১১ শিক্ষককে কারণ দর্শানো নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর খুলনা অঞ্চলের উপ-পরিচালক টি এম জাকির হোসেন এই নির্দেশ দেন।
কোচিং বাণিজ্যে জড়িত থাকার অভিযোগে বাগেরহাট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোহাম্মদ আলীকে সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলার বিদে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বদলি করা হয়েছে।
একই অভিযোগে বাগেরহাট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক অরুণ কুমার গোস্বামী, সেলিম, মহসিন আলী, কবীর হোসেন আকন, অপূর্ব রায়, মুজিবুর রহমান, উত্তম কুমার দাস, দেবাশীষ দাস, সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের আঞ্জুমান আরা, জুয়েল এবং যদুনাথ স্কুল অ্যান্ড কলেজের আলাউদ্দিনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
কোচিং করানোর পরও কেন তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তা জানাতে ওই শিক্ষকদের আগামী সাত কার্যদিবস পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর খুলনা অঞ্চলের উপ-পরিচালক টি এম জাকির হোসেন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে বাগেরহাটের সরকারি বিদ্যালয়গুলোর কিছু শিক্ষক কোচিং বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ পেয়ে বুধবার বাগেরহাটে ঝটিকা অভিযান চালানো হয়। অভিযান টের পেয়ে অনেক শিক্ষক পালিয়ে যান।
এ সময় কোচিংয়ে আসা শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা স্কুলের শিক্ষকদের বিরুদ্ধে কোচিং বাণিজ্যের অভিযোগ করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার ওই শিক্ষকদের বিরুদ্ধে এই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা এবং কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়।
তিনি আরো বলেন, শিক্ষানীতি লঙ্ঘন করে কোনো শিক্ষক কোচিং বাণিজ্যের সঙ্গে জড়ালে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষদের কোচিং বাণিজ্য বন্ধ সংক্রান্ত জেলা মনিটরিং কমিটির কোচিংবিরোধী অভিযান অব্যাহত রাখা হবে বলে জানান তিনি।
by