ইবিতে ছাত্রী নির্যাতনের তদন্ত প্রতিবেদন জমা, যাবে হাইকোর্টে

Image

ইবি প্রতিনিধি,২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৩: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) রাতভর ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটি ছয় দিনের মাথায় তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় তদন্ত কমিটির সদস্য সচিব ও একাডেমিক শাখার উপ-রেজিস্ট্রার মো. আলীবদ্দীন খান বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসানের নিকট প্রতিবেদনটি হস্তান্তর করেন। এ প্রতিবেদন হাইকোর্টে পাঠানো হবে বলে জানা গেছে।

আরো পড়ুন: ইবির সেই নির্যাতিত ছাত্রীকে ক্যাম্পাসে ডেকেছে ছাত্রলীগ

এর আগে রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক ও আইন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. রেবা মণ্ডল প্রতিবেদন জমা দেন। তদন্ত কমিটির সদস্য সচিব আলীবদ্দীন খান বলেন, আমরা বিভিন্ন তথ্য-প্রমাণাদি যাচাই বাছাই করে প্রতিবেদন প্রস্তুত করেছি। আজ তা রেজিস্ট্রারেরকাছে জমা দিয়েছি।

ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান বলেন, ছয় কর্ম দিবসেই জমা দিয়েছে। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট ডিভিশনে পাঠাবো। সুপ্রিম কোর্ট যা নির্দেশনা দিবেন তা আমরা বাস্তবায়ন করবো।

এদিকে নির্যাতনের শিকার ছাত্রীকে আজ রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারি) ক্যাম্পাসে ডেকেছে ছাত্রলীগের গঠিত তদন্ত কমিটি। তবে বাড়ি থেকে ক্যাম্পাস পর্যন্ত নিরাপত্তা দিলে তিনি ক্যাম্পাসে আসবেন বলে জানিয়েছেন। তবে ফুলপরীকে আগের মতো বিশ্ববিদ্যালয়ের গেট থেকে নিরাপত্তার আশ্বাস দিয়েছেন প্রক্টর অধ্যাপক শাহাদাৎ হোসেন আজাদ।

গত ১৪ ফেব্রুয়ারি শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরা ও তাঁর সহযোগীদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের কাছে নির্যাতনের লিখিত অভিযোগ দেন ফুলপরী। ১৫ ফেব্রুয়ারি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত ও নাসিম আহমেদ জয় স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে ওই ঘটনায় শাখা ছাত্রলীগ থেকে চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

এতে আহ্বায়ক হিসেবে রয়েছেন শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি কামরুল হাসান অনীক। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন– সহসভাপতি বনি আমিন, রাকিবুল ইসলাম এবং সাংগঠনিক সম্পাদক জাকির হোসেন।

র‌্যাগিংয়ের নামে শারীরিক ও মানসিকভাবে হেনস্তার বিচার ও নিরাপত্তা চেয়ে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি ইবি শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরা এবং তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে প্রক্টর ও ছাত্র-উপদেষ্টা দফতর বরাবর লিখিত অভিযোগে ওই শিক্ষার্থী দাবি করেন, সানজিদা ও তার সহযোগীরা তাকে র‌্যাগিংয়ের নামে মারধর করেন এবং বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ করেন।

গণমাধ্যমে এ ঘটনা প্রকাশিত হলে হাইকোর্ট রুল জারি করেন এবং বিচারবিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ দেন। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় ও হল প্রশাসনের পক্ষ থেকেও দুটো পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

Facebooktwitterredditpinterestlinkedinby feather
Image Not Found

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।