অর্থমন্ত্রী যা বলেছেন, বিরোধী দলও বলে না: শিক্ষামন্ত্রী

ঢাকা: বাজেট বক্তৃতায় মাধ্যমিক শিক্ষা নিয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত যা বলেছেন, এমন কথা বিরোধী দলও বলে না বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। তিনি বলেছেন, “আমাদের ডকুমেন্টে যদি আমরা বলি পিছিয়ে আছি, তাহলে আমি কী উত্তর দিব?”nahid_

রোববার দশম জাতীয় সংসদের বাজেট অধিবেশনে আলোচনায় এ কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী। এ সময় প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা অধিবেশনে উপস্থিত ছিলেন।

 শিক্ষা খাতে বরাদ্দের পরিমাণ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে শিক্ষামন্ত্রী  বলেন, “সাড়ে ১৬ হাজার কোটি টাকা দেয়া হয়েছে অনেক মন্ত্রণালয়কে, আর আমাদের দেয়া হয়েছে মাত্র চার হাজার কোটি টাকা। আপনারাই বলেন, আমরা ভবন বানায়া দিব, নাকি বেতন দিব?”

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “(বাজেট বক্তৃতা) যারা লিখে দিয়েছেন, বাজেট বক্তৃতায় ১১ পৃষ্ঠায় আমাদের মাধ্যমিক শিক্ষা নিয়ে যা বলেছেন, আমাদের বিরোধী দলও এ কথা বলে না। আমি কী উত্তর দিব? আমাদের মাধ্যমিকে যে পরিবর্তন হয়েছে তা কি তুলনা করব আমেরিকার সঙ্গে? না শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার আগের সাথে? এখন সব মেয়েরা স্কুলে আসছে। সব বাচ্চারা স্কুলে আসছে। পরীক্ষা দিচ্ছে, ভালো ফল করছে। আমাদের ডকুমেন্টে (অর্থমন্ত্রীর বাজেট বক্তৃতা দেখিয়ে) যদি আমরা বলি আমরা পিছিয়ে আছি, আমরা অনেক পেছনে চলে গেছি, তাহলে আমি কী উত্তর দিব? কী জবাব দিব আপনারা বলেন।”

নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, “আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়, আমাদের কলেজে বিরাট পরিবর্তন এসেছে। অবকাঠামো দরকার, উন্নয়ন দরকার, বেতন দরকার, এমপিওভুক্ত দরকার। ঘানা ও কেনিয়ার মতো রাষ্ট্র বাজেটের ৩১ ভাগ শিক্ষায় বিনিয়োগ করছে। আমাদের এখানে যে দশটি মন্ত্রণালয়ে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে উন্নয়ন খাতে, শিক্ষা মন্ত্রণালয় হলো আট নম্বর। আমাদের বরাদ্দ হচ্ছে বাজেটের মাত্র ৪ দশমিক ৩ শতাংশ।”

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “কারিগরি ক্ষেত্রে বিরাট পরিবর্তন এনেছি। আমরা সেটাকে আটগুণ বেশি বৃদ্ধি করেছি। মাদ্রাসা শিক্ষায় আমরা যা করেছি তা গত ১০০ বছরেও হয়নি। যারা বলেছিল শেখ হাসিনা ক্ষমতায় গেলে মাদ্রাসা থাকবে না, (তারা) একটা ভবনও বানায়নি। শেখ হাসিনা এক হাজার ৩০০ ভবন বানিয়েছেন।”

প্রসঙ্গত, ৪ জুন জাতীয় সংসদে পেশ করা বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, “মাধ্যমিক শিক্ষায় আমরা অনেকদিন ধরে পিছিয়ে আছি। প্রথমেই বলতে হবে যে প্রাথমিক শিক্ষার পরই অনেক শিক্ষার্থী ঝড়ে পড়ে। দ্বিতীয়ত, মাধ্যমিক শিক্ষায় মানসম্মত শিক্ষকের অভাব খুবই প্রকট। তৃতীয়ত, এই স্তরে শিক্ষার মান বেশ নিম্ন পর্যায়ে আছে।”

Facebooktwitterredditpinterestlinkedinby feather
Image Not Found

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।