অবিলম্বে স্কুলশিক্ষক হৃদয় মণ্ডলের মুক্তি চায় ঢাবি শিক্ষক সমিতি

Image

ঢাবি প্রতিনিধি,০৮ এপ্রিল ২০২২|
মুন্সীগঞ্জ সদরের বিনোদপুর রামকুমার উচ্চ বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান শিক্ষক হৃদয় চন্দ্র মণ্ডলকে ধর্ম অবমাননার অভিযোগে গ্রেফতারের প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে তার মুক্তির দাবি করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শিক্ষক সমিতি। শুক্রবার (৮ এপ্রিল) সংগঠনটির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. রহমত উল্লাহ ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. নিজামুল হক ভূঁইয়া স্বাক্ষরিত এক বৃতিতে এ দাবি জানানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, পরিকল্পিতভাবে ধর্ম অবমাননার দায়ে ফাঁসিয়ে মুন্সীগঞ্জ সদরের বিনোদপুর রামকুমার উচ্চ বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান শিক্ষক হৃদয় চন্দ্র মণ্ডলকে গ্রেফতারের খবরে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে। একইসঙ্গে ভুক্তভোগী শিক্ষকের অবিলম্বে মুক্তি দাবি করছে।

উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে দাবি করে নেতারা বলেন, হৃদয় চন্দ্র মণ্ডল ২১ বছর ধরে ওই বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করছেন। এ ধরনের প্রবীণ শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের একজন চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীর মাধ্যমে মামলা করানো হয়, যা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে প্রতীয়মান। এছাড়া তড়িঘড়ি করে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা করাটাও রহস্যজনক। এই শিক্ষকের জামিনের শুনানিকালে ‘এখন জামিন দিলে জীবনের নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়তে পারে’ বলে বাদীপক্ষের আইনজীবী যে বক্তব্য দিয়েছেন, সেটি উদ্বেগজনক। আর যেকোনও নাগরিকের নিরাপত্তার দায়িত্ব রাষ্ট্রের।

তারা বলেন, ‌সাম্প্রতিক কালে ধর্ম নিয়ে একশ্রেণির অপতৎপরতাকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে মনে করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। রাষ্ট্রের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করে ঘোলাজলে মাছ শিকারের জন্য সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করতে একটি মহল অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। এ ঘটনা তারই অংশ বলে আমরা মনে করি। শিক্ষকের শিক্ষাদানের স্বাধীনতাকে অক্ষুণ্ণ রাখতে হবে। এ ধরনের অপতৎপরতা সমূলে উৎপাটন করা না গেলে যেকোনও শিক্ষকের পক্ষে স্বাধীনভাবে শ্রেণিশিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করা কঠিন হয়ে পড়বে। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে খুঁজে বের করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছি।

Facebooktwitterredditpinterestlinkedinby feather
Image Not Found

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।