নিয়ম না মানাই সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম

ডেস্ক রিপোর্ট : বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার জন্য সুস্পষ্ট নিয়ম-নীতি থাকলেও সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তা মানছে না। কার্যত নিয়ম না মানাই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর নিয়মে পরিণত হয়েছে। আগে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো গণতান্ত্রিক চর্চার প্রধান কেন্দ্র থাকলেও বর্তমানে তার লেশ মাত্র নেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা বা কর্মচারী সবার ক্ষেত্রে একই কথা প্রযোজ্য। ক্ষমতাসীনদের ছত্রছায়ায় পরিচালিত এসব কার্যকলাপের প্রধান লক্ষ শাসক দলের পথকে কণ্টকমুক্ত রাখা হলেও এ সুযোগকে ব্যবহার করে স্বার্থান্বেষীরা তাদের নিজ স্বার্থ হাসিলেই বেশি তৎপর।

দেশের সবচেয়ে বড় বিশ্ববিদ্যালয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু করে প্রত্যন্ত এলাকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও চলছে বিভিন্ন অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার মধ্য দিয়ে। শিক্ষাবিদরা বলছেন বর্তমান সময়ে সবচেয়ে বড় পেশিশক্তি প্রয়োগের স্থান হয়ে উঠেছে দেশের স্বায়ত্তশাসিত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। এসব প্রতিষ্ঠানে নেই গণতান্ত্রিক কোনো পরিবেশ। শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী নিয়োগে সুনির্দিষ্ট আইন-কানুন থাকলেও নেই তার কোনো বাস্তবায়ন। হলের ছাত্রাবাসে গেস্টরুম, প্রোগ্রামের নামে শিক্ষার্থীদের ক্ষমতাসীন ছাত্র সংগঠনের প্রতি নিঃশর্ত আনুগত্য প্রকাশ না করলে মেলে না হলে থাকার নিশ্চয়তা। ছাত্র সংসদ নির্বাচনের আইনগত বাধ্যবাধকতা থাকলেও দশকের পর দশক ধরে তাও অনুপস্থিত। নতুন কোনো নিয়ম চালু করতে গেলে সিনেটে তা পাসের বাধ্যবাধকতা থাকলেও মানা হয় না সে নিয়মও। সিনেট সদস্য নির্বাচন, শিক্ষকদের পদোন্নতি, বিভাগের চেয়ারম্যান, হলের প্রাধ্যক্ষ বা অন্য কোনো ক্ষেত্রে পদায়নের প্রধান মাপকাঠি হিসেবে যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা, গবেষণা, শিক্ষকতায় মনোযোগ ও আন্তরিকতাকে নির্ধারণ করা হলেও তার কোনো প্রয়োগ নেই। এগুলোর পরিবর্তে এখন নিঃশর্ত দলীয় আনুগত্য প্রমাণের মধ্য দিয়ে একজনকে তার যোগ্যতার পরিচয় প্রদান করতে হয়।

গত শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট নির্বাচনকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থী-শিক্ষকদের মধ্যে ঘটেছে হাতাহাতির মত ঘটনা। যা নিয়ে সারা দেশে এখন সমালোচনার ঝড় বইছে। ওই ঘটনাতেও দেখা গেছে, এমন একাধিক ব্যক্তি সেখানে অংশ নিয়েছেন যাদের কেউ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নয়। এদের মধ্যে একদিকে যেমন আছে ভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক তেমনই রয়েছেন শিক্ষকতার জন্য আবেদনকারী কয়েকজন শিক্ষার্থীও। যাদের সবাই আবার বর্তমান সময়ের ক্ষমতাসীন ছাত্র সংগঠনের বিভিন্নপর্যায়ের নেতাকর্মী। পার্শ্ববর্তী একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের যে দুইজন শিক্ষককেও দেখা গেছে তারাও ছাত্রলীগের সাবেক নেতা। এদের দুইজনের বিরুদ্ধেই রয়েছে টেন্ডারবাজিসহ বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন সহিংস কর্মকা-ে জড়িত থাকার অভিযোগ। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল বিভাগের শিক্ষক মাহি সাবেক মুহসীন হলের ছাত্রলীগের নেতা ছিলেন। ২০১২ সালে হলটিতে সংঘটিত ছাত্রলীগের দুই গ্রুপে তীব্র সহিংসতায় প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়। ওই ঘটনার প্রধান অভিযুক্ত ছিলেন বর্তমান জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল বিভাগের এ শিক্ষক। জানা গেছে বর্তমানে ওই দুই শিক্ষকই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হওয়ার জন্য লবিং তদবির করে চলেছেন। আর এ কারণে ভিসি ও সরকারের নজন কাড়তেই অতি উৎসাহী হয়ে তারা শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ।

ওই ঘটনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহসভাপতি আবুল কালাম আজাদ নামেও একজনকে অংশ নিতে দেখা গেছে। যিনি শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করেন। গত বছরের ১ জুলাই উপাচার্যের গাড়ি ভাংচুরেরও ঘটনায় তিনি অংশ নেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তিনি আরবি বিভাগে শিক্ষক হওয়ার জন্য আবেদন করেছেন। এ জন্য তিনিও অতি উৎসাহী হয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলায় অংশ নিয়েছেন।
এছাড়া অভিযোগ উঠেছে, সুযোগ থাকা সত্ত্বেও বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট পূর্ণাঙ্গ না করে অর্ধেকের কম সদস্য নিয়ে গত শনিবার উপাচার্য প্যানেল নির্বাচন করা হয়েছে। ফলে এর বৈধতা নিয়ে এরই মধ্যে প্রশ্ন উঠেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষক ও রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েট প্রতিনিধিদের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ইচ্ছা করলেই রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েট প্রতিনিধিসহ অন্যান্য শ্রেণির প্রতিনিধি নির্বাচন করেই এ নির্বাচন করতে পারত। কিন্তু পরাজয়ের ভয়ে প্রশাসন সে পথে না গিয়ে অনেকটা পেছনের দরজা দিয়ে তিনজনের প্যানেল নির্বাচন করেছে।

১৯৭৩ সালের অধ্যাদেশ অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়টির, সিনেটের মোট সদস্য ১০৫ জন। কিন্তু কয়েকটি শ্রেণির নির্বাচন না হওয়ায় বর্তমান সিনেটে ৫০টি পদ শূন্য রয়েছে। এর মধ্যে রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েট ২৫ জন, ৫ জন গবেষণা সংস্থার প্রতিনিধি, ৫ জন অধিভুক্ত ও উপাদানকল্প কলেজের অধ্যক্ষদের প্রতিনিধি, একাডেমিক পরিষদের মনোনীত ১০ জন ও ৫ জন ছাত্র প্রতিনিধির পদ শূন্য। সংশ্লিষ্টরা বলছেন ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনে জটিল পরিস্থিতির মতো ক্ষেত্র সৃষ্টির আশঙ্কা থাকে। কারণ এর সঙ্গে জাতীয় রাজনীতির যোগসূত্র রয়েছে। কিন্তু অন্য সবগুলো নির্বাচনই প্রশাসন চাইলেই নির্বেঘ্নে করতে পারে। কিন্তু পরাজয়ের ভয়ে সে পথে যেতে আগ্রহী নয় বিশ্ববিদ্যালয়টি।

বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে রয়েছে ভুরি ভুরি অনিয়মের অভিযোগ। মাস্টার্স পাস না করেও শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে এমন অভিযোগও রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টির বর্তমান প্রশাসনের বিরুদ্ধে। এছাড়া নির্দিষ্টসংখ্যক শিক্ষকের বিপরীতে দ্বিগুণ শিক্ষক নিয়োগের অভিযোগ একটি সাধারণ বিষয়ে পরিণত হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগে শিক্ষক নিয়োগে গত বছর ৪টি শূন্যপদে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি দেয়া হলেও নিয়োগ দেয়া হয় ৯ জনকে। যার মধ্যে মাস্টার্স পাস না করেই ৩ জন নিয়োগ পেয়েছিলেন। ওই ঘটনার পর ব্যাপক সমালোচনার মুখে বিশ্ববিদ্যালয়টির ভিসি একে সত্যের অপলাপ বলে তা আড়ালেরও চেষ্টা করেন। প্রায় প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় ও বিভাগেরই বিরুদ্ধে এ ধরনের নিয়োগের অভিযোগ রয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়টির একটি সূত্র জানাচ্ছে, বিগত কয়েক বছরের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রশাসনিক পর্যায়ে লবিং তদবিরের বাইরে কাউকে নিয়োগ দেয়া হয়নি। যারা নিয়োগ পেয়েছে তাদের অধিকাংশ ক্ষমতাসীন ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মী বলেও অভিযোগ রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়টির হলের প্রধক্ষ ও বিভাগীয় চেয়ারম্যান পদ দুটিও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিগত বছরগুলোতে এ পদ দুটিতে নিয়োগের ক্ষেত্রেও যোগ্যতার কোনো মূল্যায়ন নেই বলে অভিযোগ। অনেক ক্ষেত্রে যোগ্যরা এগিয়ে আসতে চাইলে তাদেরকে হুমকি ধামকি দিয়ে সে দাবি ত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়েছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের তথ্যমতে, দেশের প্রায় সব সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়েই নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতি, অনিয়ম রয়েছে। এক বিভাগে পড়াশোনা করে আরেক বিভাগে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার মতো অভিনব ঘটনাও রয়েছে। আবার দলীয় আনুগত্যের কারণে অযোগ্যদের অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে পদায়নের অভিযোগ যেমন আছে, তেমনই দলীয় লোক আনুগত্য না থাকায় যোগ্যতা থাকার পরেও পদোন্নতি না দেয়ারও অভিযোগ প্রায় অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধেই। রাজধানীর বুকে আরেক নামকরা সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় জাহাঙ্গীরনগরে বিগত কয়েক বছর ধরে বিভিন্ন অনিয়মকে কেন্দ্র করে দফায় দফায় ঘটছে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা, শিক্ষক শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ।

বাদ যায়নি দেশের অন্যতম সেরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ও। রংপুর বিশ্ববিদ্যালয়য়ের ভিসির বিরুদ্ধে সেখানকার শিক্ষক সমিতির করা একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ খতিয়ে দেখতে যেয়ে বিশ্ববিদ্যালগুলোর নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠান বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন বলছে তারা বড় ধরনের দুর্নীতির প্রমাণ পেয়েছে। বিষয়টি এখনো তদন্তাধীন রয়েছে।

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) উপাচার্য ড. এম অহিদুজ্জামানের অনিয়ম ও দুর্নীতি তদন্ত করছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। গত বছর বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়েও (বাকৃবি) দুর্নীতির অভিযোগে ৯৬ কর্মচারীর নিয়োগ বাতিল করা হয়। ওই সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়টির ভিসি রফিকুল হকও দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে পদত্যাগে বাধ্য হন।

সাম্প্রতিক সময়ে দেশের অন্যতম বিতর্কিত বিষয়ে পরিণত হয়েছে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বহনকারী বাসের উল্টো পথে পথ চলা। এ সময়ে কেউ বাধা দিতে আসলে অধিকাংশ ক্ষেত্রে প্রতিবাদকারীকে হতে হয়েছে হেনস্তার শিকার। এ থেকে বাদ যায়নি আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরাও। তথ্য প্রযুক্তি আইনের বিতর্কিত ৫৭ ধারায় সহকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করে সাম্প্রতিক সময়ে দেশজুড়ে তীব্র সমালোচনা শুরু হয় সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মধ্যতার সম্পর্কের বিষয় নিয়েও। বিশ্ববিদ্যালয় বিদ্যা অর্জনের প্রধান কেন্দ্র হলেও বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে এখন একেকটি রাজনৈতিক দুর্গ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। শিক্ষার্থীদের নানা প্রলোভন দেখিয়ে কামলা খাটানো হয়। এ প্রবণতা ক্রমেই বাড়ছে। বাংলাদেশের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ও আন্তর্জাতিক র‌্যাঙ্কিংয়ের গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে যেতে ব্যর্থ হয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে দুই একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম আন্তর্জাতিক র‌্যাঙ্কিংয়ে থাকলেও তার অবস্থান পাঁচশ’ এর পরে। এ থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার মান সহজেই অনুমেয়।
বড় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষকদের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস নেয়ার বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক বহু পুরনো। ভালো মানের শিক্ষকরা বেশি টাকার লোভে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস নিতেই বেশি আগ্রহী। অথচ যে বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম বিক্রি করে এত নাম যশ কিনেছেন সেখানকার শিক্ষার্থীদের সময় না দিয়ে অর্থের বিনিময়ে শিক্ষা বিক্রির প্রতিযোগিতায় নামলেও তা বন্ধে বিভিন্ন পক্ষের দীর্ঘদিনের দাবির কোনো গুরুত্ব নেই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কাছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থীর জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হলো। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ের হলের সিট বাণিজ্য, ক্যান্টিনের খাবার নিয়ে নোংরা রাজনীতি চললেও তা বন্ধে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কোনো আগ্রহ নেই। এ হলের রাজনীতিকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে প্রায়ই ঘটছে সহিংস ঘটনা। ঝরছে মেধাবী শিক্ষার্থীদের প্রাণ। অথচ নিজেদের পদ-পদবি ঠিক রাখতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কর্তাব্যক্তিরা এসব অপকর্মের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের ব্যবস্থা নিতে আগ্রহী নয়। শিক্ষাবিদরা বলছেন এসব শিক্ষকদের কাছে শিক্ষার্থীদের জীবনের চেয়ে নিজেদের পদ-পদবির মূল্য অনেক বেশি।

অনেক ক্ষেত্রে শ্রেণিকক্ষেও রাজনীতি করার অভিযোগ রয়েছে বিভিন্ন শিক্ষকের বিরুদ্ধে। সরকারবিরোধী শিক্ষকদের বিরুদ্ধে এ জন্য বিভিন্ন সময়ে ব্যবস্থা নিলেও সরকারপন্থি শিক্ষকদের বিরুদ্ধে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া তো দূরে থাক অনেক ক্ষেত্রে পুরস্কৃত করারও নজির রয়েছে।

শিক্ষাবিদরা বলছেন, বর্তমানে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর এ নোংরা ব্যবস্থার জন্য দেশের জাতীয় রাজনীতির যেমন দায় আছে, তেমনই শিক্ষকদের চাটুকারি মানসিকতা ও অনৈতিক সুবিধা পাওয়ার প্রত্যাশাও দায়ী। রাজনীতিবিদ ও শিক্ষকরা এসব সমস্যা দুরীকরণে ঐক্যবদ্ধ না হলে এ ব্যবস্থায় পরিবর্তন আসবে না বলেও অভিমত তাদের। যায়যায়দিন

Facebooktwitterredditpinterestlinkedinby feather
Image Not Found

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।