কুড়ুলগাছির মেম্বার প্রার্থীর ভিডিও ক্লিপস নিয়ে তোলপাড়

এস এম রাshamsul_alamসেল, দামুড়হুদা প্রতিনিধি : চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলায় আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে এক সদস্য প্রার্থীর ভিডিও ক্লিপস এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে।

শামসুল আলম (৪৫) নামের ওই ব্যক্তি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। তিনি উপজলার কুড়ালগাছি ইউনিয়ন পরিষদের ৮ নং ওয়ার্ডের বর্তমান সদস্যও (মেম্বার)।

এছাড়া আগামী ২৭ মে পঞ্চম ধাপের ইউপি নির্বাচনে আবারও প্রার্থী হয়েছেন শামসুল আলম।

মূলত ৮ মিনিটের ওই পর্ন ভিডিও এলাকায় ছড়িয়ে পড়ার পর বেকায়দা পড়েছেন শামসুল আলম। আর ওই ওয়ার্ডের আসন্ন নির্বাচনে তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা এটিকে ব্যবহার করে তাকে ঘায়েলের চেষ্টা করছেন।

স্থানীয়রা জানায়, বিগত দু-তিন দিন ধরেই শামসুল আলমের একটি পর্ন ভিডিও ফাঁসের কথা শোনা যাচ্ছিল। এ নিয়ে বিভিন্ন পাড়া, মহল্লায় ও চায়ের দোকানে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

এরই মধ্যে শনিবার সকাল থেকে শামসুল আলমের ওই ভিডিওটি এলাকায় ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে, যেটি শনিবার দুপুরে  স্থানীয় সাংবাদিকদের হাতে এসেছে।

ভিডিওতে আওয়ামী লীগ নেতা শামসুল আলমকে চেনা গেলেও তার সঙ্গী নারীকে এখন পর্যন্ত কেউ শনাক্ত করতে পারেনি।

এলাকাবাসীর ধারণা, কোথাও ফূর্তি করতে গিয়ে শামসুল মেম্বার নিজেই তার মোবাইলে এই ভিডিও ধারণ করেন। এরপর তার মোবাইল থেকেই হয়তো ভিডিওটি তৃতীয় কোনো ব্যক্তির হাতে পড়ে। আর সেখান থেকে সেটি ফাঁস হয়ে যায়।

এ বিষয়ে শামসুল আলম বলেন, ‘নির্বাচনী ইমেজ নষ্ট করতে কম্পিউটারে আমার ছবি সেট করে এসব অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।’

স্টিল ছবি সেট করা যায়। ভিডিও’র ক্ষেত্রে সেটি সম্ভব নয়, জানাতেই শামসুল আলম অপরপ্রান্ত থেকে ফোনের লাইন কেটে দেন। এরপর একাধিকবার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

কুড়ালগাছি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওসমান গনি বলেন, ‘এ ধরনের ভিডিও তিনি দেখেননি। তবে ঘটনার সত্যতা পেয়েছেন।’

তিনি বলেন, ‘শামসুল আলম দলের কোনো পদে না থাকলেও সক্রিয় কর্মী। এলাকায় আমাদের দলের নামেই চলেন। এ ঘটনার পর আসন্ন নির্বাচনে দল থেকে তাকে কোনো ধরনের সমর্থন দেয়া হবে না।’

এ ধরনের ঘটনার নিন্দা জানিয়ে ওসমান গনি শামসুল আলমের বিরুদ্ধে আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানান।

বিষয়টি সম্পর্কে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফরিদুর রহমানকে অবহিত করা হলে তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত এ ধরনের ঘটনায় কোনো অভিযোগ আসেনি। সাক্ষী-প্রমাণসহ অভিযোগ পেলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

Facebooktwitterredditpinterestlinkedinby feather
Image Not Found

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।