‘‘মুছে যাচ্ছে রামগতি উপজেলা বাংলাদেশের মানচিএ থেকে’’

এমদাদ হোসেন সজীব121,রামগতি(লক্ষীপুর) প্রতিনিধি: স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে দেশের দক্ষিণ অংশের জেলা হিসেবে বরাবরের মতো অবহেলিত লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলা। এক সময়ের গর্বের মেঘনা  নদী আজ সর্বস্ব কেড়ে নেওয়ার খেলায় মেতেছে। বর্ষার ভাঙনের অশুভ প্রতিযোগিতা দেখে  মনে হয় নদীটি না থাকলেই বোধ হয় মঙ্গল হতো লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার খেটে খাওয়া মানুষের। নদী ভাঙতে ভাঙতে রামগতির মানচিএ প্রায় তিন ভাগরে এক ভাগ হতে চলেছে। বিগত কয়েক বছর যাবত ভাঙন ক্রমশই বাড়ছে। অব্যাহত ভাঙনের ফলে এরই মধ্যে বিলীন হয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সহযোগিতায় নির্মিত কয়েটি সাইক্লোন সেন্টার,বহু সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান,এনজিও অফিস,স্কুল,মাদ্রাসা,মসজিদ,হাট-বাজার,রাস্তা,ব্রিজ-কালভাট ও হাজার হাজার ফসলী জমি। ভাঙনের মুখে রয়েছে বাকি সাইক্লোন সেন্টার গুলোর বেশ কয়েকটি,রামগতি উপজেলা চত্তর,নব নির্মিত ৩১ শয্যা বিশিষ্ঠ উপজেলা সরকারি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স,আ স ম আবদুর রব সরকারি কলেজ,আলেকজান্ডার মহিলা কলেজ ও রামগতি পৌরসভা পুরোটা। উল্লেখ যে, রামগতি উপজেলা চত্তর ও উপজেলা সরকারি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে নদী মাএ কয়েক গজ। আসছে বর্ষায় যে কোন মুহূর্তে নদী গর্বে বিলীন হয়ে যেতে পারে সরকারী এ দুটি প্রতিষ্ঠনের পুরোটা। আলেকজান্ডার থেকে  রামগতি পর্যন্ত যোগাযোগের একমাএ রাস্তাটি বিলীন হয়েছে গত সাত বছর আগেই। এ ছাড়াও আলেকজান্ডার টু নোয়াখালী সড়ক থেকে নদী মাএ কয়েক হাত দূরে অবস্থান করছে।এ সড়কটি ভেঙ্গে গেলে পুরো দেশের সাথে এক প্রকার যোগাযোগ বিচ্ছিন্নই হয়ে যাবে রামগতির।দিন দিন ভাঙনের এ তীব্রতা বাড়তে থাকায় রামগতির হেডকোয়াটার আলেকজান্ডারের সাধারণ ছাএ-ছাএীরা মিলে তৈরি করে ‘‘রামগতি –  আলেকজান্ডার রক্ষা মঞ’’ এ মঞ থেকে বিভিন্ন সময় বিক্ষোভ মিছিল,সভা-সেমিনার,সড়ক অবোরধ, মানববন্ধন এবং হরতালের মত কঠিন কর্মসূচি পালন করা হয় জেলা প্রসাশককে বেশ কয়েকবার স্মারকলিপি দেওয়া হলেও সাম্প্রতিক সময়ে সরকারের কোন উদ্যোগ দেখা যায়নি।বাংলাদেশের মানচিএে রামগতির চিহ্ন রাখতে হলে অতি শীঘ্রই মেঘনার ভাঙন প্রতিরোধে সরকারের আশু দৃষ্টি দেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন এখানকার সাধারণ জনগন।

Image Not Found

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।