যশোর বোর্ডে ফল বিপর্যয়ের কারণ ইংরেজিতে বেশি ফেল

Image

এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলে যশোর বোর্ড খারাপ করার কারণ হিসেবে ইংরেজিতে বেশি ফেলকে দায়ী করেছেন বোর্ডটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক আহসান হাবিব।

তিনি জানান, এবার তাঁর বোর্ডের ইংরেজি বিষয়ের প্রশ্নপত্র কিছুটা কঠিন হয়েছিল। ইংরেজিতে শিক্ষার্থীরা বেশি ফেল করায় পাসের হার কমেছে। একই সঙ্গে ইংরেজিতে খারাপ করায় অনেক শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পাননি।

আরো পড়ুন: ৪২ প্রতিষ্ঠানের কেউ পাস করেনি

এইচএসসি পরীক্ষার ফলে এবার দেশের ১১টি শিক্ষা বোর্ডের মধ্যে পাসের হারে সবচেয়ে পিছিয়ে যশোর। এ বোর্ডে পাস করেছেন মাত্র ৬৯ দশমিক ৮৮ শতাংশ পরীক্ষার্থী। অথচ গত বছর এ বোর্ডে পাসের হার ছিল ৮৩ দশমিক ৯৫ শতাংশ।

রোববার (২৬ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ফলাফলের বিস্তারিত তুলে ধরেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলে এগিয়ে আছেন ছাত্রীরা। এ বছর উত্তীর্ণ ১০ লাখ ৬৭ হাজার ৮৫২ হাজার পরীক্ষার্থীরা মধ্যে ছাত্রী ৫ লাখ ৬৮ হাজারের বেশি ও ছাত্র ৫ লাখ ২৮ হাজারের বেশি জন। পাসের হারেও এগিয়ে ছাত্রীরা। ছাত্রীদের পাসের হার ৮০ দশমিক ৫৭ শতাংশ। ছাত্রদের পাসের হার ৭৬ দশমিক ৭৬ শতাংশ।

এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় ছাত্রীদের থেকে বেশি সংখ্যক ছাত্র অংশ নিয়েছিলেন। পরীক্ষায় অংশ নেয়া মোট ১৩ লাখ ৫৭ হাজার ৯১৫ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ছাত্র ছিলেন ৬ লাখ ৮৯ হাজার ও ছাত্রী ছিলেন ৬ লাখ ৬৮ হাজার।

গত বছরের তুলনায় এইচএসসির ফলাফলের চেয়ে এবার ১১টি শিক্ষা বোর্ডের গড় পাসের হারও কিছুটা কমেছে। এ বছর দেশের ১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় অংশ নেন ১৩ লাখ ৫৯ হাজার ৩৪২ জন শিক্ষার্থী।

সারাদেশে মোট কেন্দ্র সংখ্যা ছিল ২ হাজার ৬৫৮টি এবং মোট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ৯ হাজার ১৬৯টি। এইচএসসি ও সমমানে সব বোর্ডে পাসের হার ৭৮ দশমিক ৬৪ শতাংশ। গতবার যা ছিল ৮৫ দশমিক ৯৫ শতাংশ।

তবে ২০২২ সালে সব বোর্ড মিলিয়ে পরীক্ষার্থী ছিলেন ১২ লাখ ৩ হাজার ৪০৭ জন। সেই হিসাবে এবার পরীক্ষার্থী বেড়েছে এক লাখ ৫৫ হাজার ৯৩৫ জন।

Image Not Found

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।