অভিনেত্রী ঐশ্বরিয়ার সঙ্গে নাকি বচ্চন পরিবারের চিড় ধরেছে। নিজের ৫০তম জন্মদিন শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের ছাড়াই কাটিয়েছিলেন প্রাক্তন এই বিশ্বসুন্দরী। পাশে ছিলেন মেয়ে আরাধ্যা বচ্চন ও মা বৃন্দা রাই। দেখা যায়নি স্বামী অভিষেক বচ্চন বা বচ্চন পরিবারের কাউকেই। সামাাজক মাধ্যমের পাতাতেও দায়সারা ভাবে স্ত্রীকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন জুনিয়র বচ্চন।
পোশাকশিল্পী মণীশ মলহোত্রর দীপাবলির পার্টিতেও ঐশ্বরিয়ার পাশে ছিলেন না অভিষেক। শুধু তাই-ই নয়, দীপাবলির উৎসবেও বাড়ির পুজোয় না থেকে মেয়েকে নিয়ে শহর ছেড়েছিলেন অভিনেত্রী। ঐশ্বরিয়ার এমন পদক্ষেপে বচ্চন পরিবারে অশান্তির জল্পনা বেড়েছে বই কমেনি। এর মধ্যেই সমাজমাধ্যমের পাতায় ছড়িয়ে পড়ল একটি ভিডিও, যাতে এক তামিল অভিনেতা ঐশ্বর্যাকে ধর্ষণ করার ‘ইচ্ছা’ প্রকাশ করেছেন!
দক্ষিণী অভিনেত্রী তৃষা কৃষ্ণনকে উদ্দেশ্য করে কুরুচিকর মন্তব্য করার জন্য গত সপ্তাহখানেক ধরে বিতর্কের কেন্দ্রে রয়েছেন দক্ষিণী অভিনেতা মনসুর আলি খান। লোকেশ কনগরাজের ‘লিও’ ছবিতে অভিনয় করলেও তৃষার সঙ্গে কোনো দৃশ্যে দেখা যায়নি অভিনেতা মনসুরকে।
এক অনুষ্ঠানে মনসুর বলেন,‘আগের সব ছবিতে আমি নায়িকাদের তুলে বিছানায় নিয়ে যেতাম। আমি ভেবেছিলাম, তৃষার সঙ্গেও এমন কোনো একটা দৃশ্যে অভিনয় করার সুযোগ পাব।’ মনসুরের এই ভিডিও সামাজিকমাধ্যমের পাতায় ছড়িয়ে পড়ার পরেই ওঠে নিন্দার ঝড়। নিন্দায় শামিল হন দক্ষিণী গায়িকা চিন্ময়ী শ্রীপদাও। মনসুরের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে সামাজিকমাধ্যমের পাতায় একটি ভিডিও শেয়ার করেন তিনি। সেই ভিডিওয় দেখা যায়, তামিল অভিনেতা রাধা রবি বলছেন, ‘আমি যদি তামিল বিনোদন জগতে কাজ না করে বলিউডে কাজ করতাম, তা হলে আমিও ঐশ্বরিয়াকে ধর্ষণ করার সুযোগ পেতাম। মানে, ঐশ্বরিয়ার সঙ্গে তেমন দৃশ্যে অভিনয় করার সুযোগ পেতাম।’
কয়েক বছর আগের ভিডিও হলেও সামাজিক মাধ্যমের পাতায় দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ে তা। তৃষাকে নিয়ে মনসুরের আপত্তিকর মন্তব্যের পর জাতীয় মহিলা কমিশনের দাবি মেনে অভিনেতার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে তামিলনাড়ু পুলিশ। তবে চিন্ময়ী জানান, ওই সময় কেউ রাধা রবির বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ভাবেনওনি।