৩০ সেকেন্ডেই কোনো নিয়োগকর্তাকে মূল্যায়ন করবেন যেভাবে

11111বছরের পর বছর আমরা শুনে এসেছি যে নিয়োগকর্তারা আপনার রেজ্যুমে পড়ার জন্য মাত্র ৫ থেকে ১০ সেকেন্ড সময় ব্যয় করেন। এর বেশি নয়।
অবশ্য, প্রকৃতপক্ষে মাত্র ১০ সেকেন্ডে একটি রেজ্যুমে পড়া সম্ভব নয়। এতে আরো বেশি সময় লাগে। আর কারো যদি রেজ্যুমে পড়ার জন্য যথেষ্ট সময় না থাকে তাহলে তাদের লোকবল নিয়োগ দেওয়া উচিৎ নয়।
তবে, ম্যানেজার এবং নিয়োগকর্তারা মাত্র একবার নজর বুলিয়েই রেজ্যুমে পড়ার জন্য বিখ্যাত। এমনকি তারা হয়তো আপনার রেজ্যুমের দ্বিতীয় পৃষ্ঠাটি নাও উল্টে দেখতে পারেন। বিষয়টি বেশ লজ্জার কিন্তু এটাই বাস্তবতা।
আবার কোনো নিয়োগকর্তা হয়তো আপনার লিঙ্কডইন প্রোফাইল দেখেই আপনার সঙ্গে যোগাযোগ করবে।
এখন জুতাটি বিপরীত পায়ে। নিয়োগকর্তার আপনাকে দরকার। বা আপনার সঙ্গে যোগাযোগের তাদের কোনো সময় নেই। আপনি যখন কোনো নিয়োগকর্তার সঙ্গে ফোনে কথা বলবেন তখন আপনার পালা তাদেরকে পরখ করার। যেমন করে তারা আপনার মতো চাকিরপ্রার্থীদেরকে পরখ করেন।
অনেক নিয়োগকর্তা আবার আপনাকে ফোন দিয়েই আপনার ব্যাকগ্রাউন্ড সম্পর্কে প্রশ্ন করা শুরু করবে। তখন তাদের থামিয়ে দিয়ে ঠাণ্ডা মাথায় বলুন, “আমাকে জিজ্ঞেস করতে দিন: আপনি কি আমার লিঙ্কডইন প্রোফাইল দেখেছেন?”
আপনার লিঙ্কডইন প্রোফাইলটি যদি হালনাগাদ করা থাকে তাহলে তারা আপনাকে প্রশ্ন করে আপনার মূল্যবান সময় নষ্ট করছে। কারণ এসব প্রশ্নের উত্তর আপনার লিঙ্কডইন প্রোফাইলেই দেওয়া আছে।
এরপর যদি ওই নিয়োগকর্তা বলেন, হ্যাঁ আমি আপনার প্রোফাইল পড়েছি তবে আমার নিজের কিছু প্রশ্ন আছে আপনাকে করার মতো। তাহলে ভদ্রতার সঙ্গে শুধু ফোনটি ঝুলিয়ে রাখুন।
নিয়োগকর্তারা আপনার মতো প্রার্থীদের ছাড়া একটি পয়সাও আয় করতে পারবে না। যদি কোনো নিয়োগকর্তা আপনার কাছে ফোনযোগে পৌঁছানোর পর আপনার প্রশ্নের জবাব দিয়ে আপনার কাছে তার নিজের মূল্য প্রমাণের জন্য সময় দিতে না পারেন তাহলে তিনি আসলে আপনার কোনো উপকার করতে পারবে না!
যে নিয়োগ কর্তা আপনাকে ফোন করবে আপনার অবশ্যই তাকে পরীক্ষা করে দেখতে হবে। আপনি এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার রাখেন নিয়োগ কর্তার কাছে কে আপনার প্রতিনিধিত্ব করবেন। এমন কাউকে বাছাই করবেন না যিনি রুঢ় বা নিজেরটাই শুধু করতে চান। এমন কোনো নিয়োগকর্তাকে বাছাই করুন যিনি আপনাকে এবং আপনার ব্যাকগ্রাউন্ডকে সম্মান করেন। এবং আপনার সময়েরও মূল্য দেন।
যখন কোনো নিয়োগকর্তা আপনার সঙ্গে যোগাযোগ করবে তাৎক্ষণিকভাবেই আপনার ব্যাকগ্রাউন্ড সম্পর্কে তাদের প্রশ্নের জবাব দেওয়া শুরু করবেন না। কারণ তারা এখনো আপনাকে প্রশ্ন করার কোনো অধিকার অর্জন করেননি।
আপনার নিজেরও প্রশ্ন আছে আগে যার উত্তর দেওয়া দরকার!
নিয়োগকর্তাকে জিজ্ঞেস করুন তাদের নির্দিষ্ট কোনো চাকরির সুযোগ আছে কিনা। যার জন্য হয়তো আপনি যোগ্য হতে পারেন। কিন্তু তারা যদি আপনাকে শুধু তাদের ডাটাবেজেই যুক্ত করতে চায় তাহলে দ্রুতই ফোনটি রেখে দিন।
আর আপনার জন্য যদি তাদের প্রতিষ্ঠানে নির্দিষ্ট কোনো চাকরির সুযোগ থাকে তাহলে কোথায় থেকে সেটি করতে হবে তা জিজ্ঞেস করুন। আপনার ভুমিকা কী হবে তার একটি সাধারণ খসড়া জানাতে বলুন। চাকরিটির জন্য তারা কত টাকা বেতন দিতে পারবে তা জিজ্ঞেস করুন।
প্রতিটি ভালো নিয়োগকর্তাই এই তিনটি প্রশ্নের সন্তোষজনক জবাব দেবেন। কিন্তু কোনো নিয়োগকর্তা যদি এই প্রশ্নগুলোর জবাব না দেন তাহলে তাকে বিদায় জানান।
আপনার প্রতিনিধিত্ব করার অনুমতি দেওয়ার আগে প্রতিটি নিয়োগ কর্তাকে পরখ করার জন্য যথেষ্ট সময় ও শক্তি ব্যয় করুন। কারণ মনে রাখবেন আপনি শুধু একগুচ্ছ দক্ষতা আর সনদ নন। আপনি হলেন এমন একজন প্রতিভাধর পেশাদার যাকে নিয়োগ দিয়ে নিয়োগকর্তারা ভাগ্যবান হতে পারবেন। আর মনে রাখবেন তারাই আপনাকে পাওয়ার জন্য যোগ্য যারা আপনাকে মূল্যায়ন করবেন।

Facebooktwitterredditpinterestlinkedinby feather
Image Not Found

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।