২৪৮ ট্রেড ইনস্ট্রাক্টর নিয়োগের চাহিদা এনটিআরসিএতে, শিগগিরই নিয়োগ

২৪৮ ট্রেড ইনস্ট্রাক্টর

নিজস্ব প্রতিবেদক,১১ মে ২০২৩:

সেকেন্ডারি এডুকেশন সেক্টর ইনভেস্টমেন্ট প্রোগ্রামের (সেসিপ) আওতায় বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ২৪৮ জন ট্রেড ইনস্ট্রাক্টর নিয়োগের চাহিদা বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) কাছে পাঠানো হয়েছে। এই চাহিদা যাচাই-বাছাইয়ের পর বিজ্ঞপ্তি জারি করবে এনটিআরসিএ।

জানা গেছে, সারা দেশে সেসিপ পরিচালিত ৬৪০টি স্কুল রয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানগুলোতে ট্রেড ইনস্ট্রাক্টর নিয়োগ দেওয়া হয় এনটিআরসিএ’র মাধ্যমে। আর ল্যাব সহকারী নিয়োগ হয় প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে। সেসিপ পরিচালিত বিভিন্ন স্কুলে ট্রেড ইনস্ট্রাক্টরের সংকট দেখা দেওয়ায় নিয়োগের উদ্যোগ নেয় সেসিপ।

ট্রেড ইনস্ট্রাক্টর নিয়োগ দিতে কয়েক দফায় সেসিপ পরিচালিত স্কুলগুলো থেকে শূন্য পদের তথ্য সংগ্রহ করা হয়। এই তথ্য দফায় দফায় এনটিআরসিএতে পাঠানো হয়। সবশেষ ২৪৮ জন ট্রেড ইনস্ট্রাক্টর নিয়োগের চাহিদা এনটিআরসিএতে পাঠানো হয়েছে। এই তথ্য যাচাই করছে এনটিআরসিএ।

এনটিআরসিএ’র একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র শিক্ষাবার্তাকে জানিয়েছে, চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সেসিপ পরিচালিত স্কুলগুলোতে ট্রেড ইনস্ট্রাক্টর নিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছে। নতুন করে যে চাহিদা পাঠানো হয়েছে সেখানে পুনরায় ওই প্রতিষ্ঠানগুলোর চাহিদা পাঠানো হয়েছে কি না সেটি যাচাই করা হচ্ছে।

ওই সূত্র আরও জানায়, তথ্য যাচাইয়ের কাজ অনেকটাই গুছিয়ে আনা হয়েছে। চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তিতে নিয়োগ প্রক্রিয়া চলাকালীন সেসিপের গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হতে পারে। তবে কোনো কারণে তথ্য যাচাইয়ের কাজে বিলম্ব হলে চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তির নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে এনটিআরসিএ’র উপপরিচালক (শিক্ষাতত্ত্ব ও শিক্ষামান) শাহীন আলম চৌধুরী বলেন, সেসিপ থেকে আমাদের কাছে চাহিদা পাঠানো হয়েছে। আমরা এটি যাচাই করছি। যাচাই প্রক্রিয়া শেষ হলে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের দিনক্ষণ জানানো যাবে।

এদিকে দীর্ঘদিন ধরে সেসিপে নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ থাকায় স্কুলগুলোতে শিক্ষক সংকট দেখা দিয়েছে। এই অবস্থায় দ্রুত ট্রেড ইনস্ট্রাক্টর নিয়োগ দিয়ে শিক্ষক সংকট দূর করার পাশাপাশি বেকারদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করার দাবি জানানো হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে সেসিপ’র ট্রেড ইনস্ট্রাক্টর ফোরামের আহবায়ক মো. রাশেদ মোশাররফ জানান, সঠিক সময়ে নিয়োগ না হওয়ায় সেসিপের স্কুলগুলোতে পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে। সঠিক পাঠদান না হওয়ায় কারিগরি শিক্ষার উন্নয়ন ব্যাহত হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, সেসিপের গণবিজ্ঞপ্তির অপেক্ষায় রয়েছে ১৬তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণরা। তাদের অনেকের বয়স শেষের দিকে। নিয়োগ না হওয়ায় নিবন্ধন সনদ নিয়ে বেকার অবস্থায় রয়েছেন তারা। দ্রুত নিয়োগ হলে বেকারত্ম দূর হওয়ার পাশাপাশি শিক্ষার্থীরা সঠিক শিক্ষা পেত।

নিয়োগ প্রক্রিয়ার ধীরগতি সম্পর্কে জানতে চাইলে সেসিপের যুগ্ম প্রোগ্রাম পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) প্রফেসর ড. সামসুন নাহার বলেন, আমরা অনেক আগেই নিয়োগের চাহিদা এনটিআরসিএতে পাঠিয়েছিলাম। তবে তারা বারবার তথ্য যাচাইয়ের জন্য আমাদের কাছে পাঠিয়েছিল। সেজন্য নিয়োগে কিছুটা ধীরগতি এসেছে।

তিনি আরও বলেন, আমরা ২৪৮ জন ট্রেড ইনস্ট্রাক্টর নিয়োগের চাহিদা এনটিআরসিএতে পাঠিয়েছি। এই তালিকা প্রায় চূড়ান্ত। শিগগিরই এনটিআরসিএ নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করবে। ফলে সাময়িক যে সংকট তৈরি হয়েছে তা দূর হয়ে যাবে।

Facebooktwitterredditpinterestlinkedinby feather
Image Not Found

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।