হোমিওপ্যাথিতে ডিপ্লোমা পাশেই মেডিকেল কলেজের সনদ!

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক,২২ অক্টোবর ২০২১ঃ

বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক বোর্ডের আন্ডারে পরিচালিত ৬৩টি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কেবলমত্র ডিপ্লোমা পাসের সনদ দিয়েই দেওয়া হবে মেডিকেল কলেজের সনদ। এই সনদ দিয়েই দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে চিকিৎসাসেবা দেবেন ডিপ্লোমা পাস এসব চিকিৎসকরা। ফলে সঠিক চিকিৎসা সেবা বঞ্চিত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ।

জানা গেছে, দেশে চিকিৎসক হওয়ার জন্য এইচএসসি ও সমমান পাসের পর ৫ বছর মেয়াদি এমবিবিএস কোর্স অথবা সরকারি হোমিওপ্যাথিক কলেজ থেকে ৫ বছর মেয়াদি ব্যাচেলর অব হোমিওপ্যাথি এন্ড মেডিসিন সার্জারি কোর্স সম্পন্ন করতে হয়। তবে হোমিওপ্যাথিক বোর্ডের আন্ডারে পরিচালিত বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর নাম হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ করার উদ্যোগ নেওয়ায় ডিপ্লোমা পাসেই মিলবে মেডিকেল কলেজের সনদ।

আরো পড়ুনঃ শিক্ষপ্রতিষ্ঠানে ক্লাসের সংখ্যা এখনই বাড়ছে না: শিক্ষামন্ত্রী

যদিও মেডিকেল কলেজ এবং সরকারি হোমিওপ্যাথিক কলেজে ভর্তির একটি নীতিমালা রয়েছে। তবে ডিপ্লোমা কোর্সে ভর্তি হতে বয়সের কোনো সীমাবদ্ধ নেই। কেবল এসএসসি পাস করেই ভর্তি হওয়া যায় হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল (ডিপ্লোমা) কলেজে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের চিকিৎসা শিক্ষা বিভাগে যোগাযোগ করে জানা গেছে, বেসরকারি পর্যায়ে হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল (ডিপ্লোমা) কলেজ চালুর ক্ষেত্রে হোমিওপ্যাথিক বোর্ডের একটি নীতিমালা রয়েছে। শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করতে হলে নীতিমালাগুলো অবশ্যই পালন করতে হবে।

নীতিমালার ১০ নম্বর ধারায় বলা হয়েছে, হোমিওপ্যাথিক ডিপ্লোমা কোর্সের জন্য সজ্জিত গবেষণাগার ও বহির্বিভাগীয় চিকিৎসা ব্যবস্থা থাকতে হবে। শিক্ষার্থীদের ইন্টার্নশীপের জন্য ১০ শয্যা বিশিষ্ট ইনডোর চিকিৎসা ব্যবস্থা থাকতে হবে। এছাড়া প্রত্যেক বিষয়ের জন্য পর্যাপ্ত বই, ব্যবহারিক শিক্ষা এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সরঞ্জাম থাকতে হবে।

তবে অধিকাংশ বেসরকারি হোমিওপ্যাথিক কলেজে এর কোনো কিছুই নেই। বিশেষ করে শিক্ষার্থীদের ইন্টার্নশীপের কোনো ব্যবস্থাই করা হয় না। এছাড়া ল্যাব, গবেষণাগার, আবার কোথাও কোথাও নেই পর্যাপ্ত বই।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, কৌশলে ডিপ্লোমা শিক্ষার্থীদের জন্য এমন নাম রাখা হয়েছে। এর কারণে কোনো প্রকার ব্যবহারিক দক্ষতা ছাড়াই চিকিৎসাসেবা দিতে পারবেন ডিপ্লোমাধারী এসব চিকিৎসক।

সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক বোর্ডের চেয়ারম্যান ডা. দীলিপ কুমার রায় বলেন, হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা সেবাটি যুগ যুগ ধরে চলে আসছে। তবে কাঠামোগত তেমন কোনো উন্নতি হয়নি। নীতিমালা অনুযায়ী সব জায়গায় ইন্টারর্নশীপর ব্যবস্থা থাকতে হবে। এছাড়া ইনডোর এবং আউটডোর চিকিৎসা ব্যবস্থাও থাকতে হবে। তবে কিছু জায়গায় সেটি হচ্ছে না।

তিনি আরও বলেন, হোমিওপ্যাথি ডিপ্লোমা কোর্সের পরিবর্তে হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ নামকরণের ব্যাপারে সচিব স্যারের সাথে কথা হয়েছে। যে প্রতিষ্ঠানগুলো ডিগ্রি সমমান পর্যায়ের শিক্ষা নিশ্চিত করবে তারা মেডিকেল কলেজ হবে।

Facebooktwitterredditpinterestlinkedinby feather
Image Not Found

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।