সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা জেলার বিভিন্ন এলাকায় বিএনপি ও জামায়াত-শিবির কর্মীদের ধরতে রোববার রাত থেকে সোমবার ভোর পর্যন্ত অভিযান চালিয়েছে যৌথবাহিনী।
এ সময় সংঘর্ষে যৌথবাহিনীর গুলিতে কমপক্ষে পাঁচজন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে তিনজনের পরিচয় জানা গেছে। তারা হলেন- সদর উপজেলার সাতানি গ্রামের আব্দুল আহাদের ছেলে জাহাঙ্গীর হোসেন (২৫) এবং দেবহাটার পাকিস্তানপাড়ার আবদুর রউফ (৩২) ও রিয়াজুল ইসলাম। বাকি দুইজনের পরিচয় জানা যায়নি। নিহত ব্যক্তিরা জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মী বলে জানা গেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, যৌথবাহিনীর পৃথক দল সোমবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে সাতক্ষীরার বিভিন্ন এলাকায় অভিযানে নামে। ভোর সাড়ে চারটার দিকে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার আগরদাড়ি এলাকায় গেলে জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা এক জোট হয়ে যৌথবাহিনীকে প্রতিরোধ করে। ওপর হামলা চালান। তারা যৌথবাহিনীর সদস্যদের লক্ষ্য করে বোমা, ককটেল ও ইটপাটকেল ছোড়েন। এসময় যৌথবাহিনী গুলি ছোড়ে। এতে আগরদাড়ি এলাকার সাতানি গ্রামের জাহাঙ্গীর হোসেন (২৫) নিহত হন। তিনি শিবিরের কর্মী বলে জানা গেছে।
যৌথবাহিনীর অপর একটি দল সদর উপজেলার পদ্মশাঁখরা এলাকায় রাত দুইটার দিকে অভিযানে যায়। সেখানেও জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীরা যৌথবাহিনীর সদস্যদের প্রতিরোধে জড়ো হলে যৌথবাহিনী পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে তুললে গুলিতে দুজন নিহত হন। তবে নিহত দুজনের নাম-পরিচয় তাত্ক্ষণিক জানা যায়নি।
দেবহাটা উপজেলার সখীপুর এলাকায় রাত চারটার দিকে অভিযানে যায় যৌথবাহিনী। সখীপুর বলফিল্ড এলাকায় পৌঁছলে একই কায়দায় যৌথবাহিনীকে প্রতিরোধের চেষ্টা চালায় জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীরা। এ সময় যৌথবাহিনীর গুলিতে পাকিস্তানপাড়ার আবদুর রউফ (৩২) ও রিয়াজুল ইসলাম (৩৫) নিহত হন।
এদিকে অভিযান চালিয়ে সকালে সদরের কাতনদা এলাকায় সাতক্ষীরা জেলা জামায়াতের আমির অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল খালেকের বাড়ি ঘিরে ফেলে। তাকে না পেয়ে তার বাড়িঘর ভাঙচুর করে। এ সময় অন্তত ১০ লাখ টাকার মালামাল যৌথ বাহিনী নিয়ে এসেছে বলে অভিযোগ করেছেন আবদুল খালেকের পরিবার।
সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার চৌধুরী মঞ্জুরুল কবির ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, সন্ত্রাসী, দুর্বৃত্তরা কোনো দলের না। তাদের প্রতিহত করতে সকলের সহযোগীতা দরকার। যারা সড়কে গাছ ফেলে ও সড়ক বিছিন্ন করে জনগণের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে চায় তাদের কঠোর হস্তে দমন করা হবে।
তিনি বলেন, অভিযান চলছে অভিযান চলবে। সাতক্ষীরাকে শান্ত না করা পর্যন্ত তাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।