সাকিবের অলরাউন্ড নৈপুণ্যে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে তৃতীয় ওয়ানডেতে ৫০ রানে জিতে অবশেষে জয়ের দেখা পেল বাংলাদেশ। তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে জিতে হোয়াইটওয়াশ এড়িয়েছে টাইগার বাহিনী। এই ম্যাচে ব্যাট-বল দুটি সেক্টরেই উজ্জ্বল ছিলেন বিশ্ব সেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ২৪৭ রানের তাড়া করতে নামা ইংলিশদের ৪৩.১ ওভারে ১৯৬ রানেই গুটিয়ে দিয়েছে টাইগাররা। তিন ম্যাচ সিরিজ অবশ্য ইংল্যান্ডই জিতেছে ২-১ ব্যবধানে।
দলের নির্ভরতার প্রতীক সাকিব আল হাসানের ব্যাট ও বলে আজ হেসেছে। সেঞ্চুরি করতে না পারলেও ৭১ বলে ৭৫ রানের ইনিংস খেলেন এ অলরাউন্ডার। বল হাতে ৩৫ রানের বিনিময়ে নিয়েছেন ৪ উইকেট।
২৪৭ রানের সহজ জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে নবম ওভারে ইংল্যান্ডের প্রথম উইকেট পতন। আর সেটা সাকিব আল হাসানের হাত ধরে। উড়িয়ে মারতে গিয়ে মাহমুদউল্লাহর তালুবন্দী হন ইংলিশ ওপেনার ফিল সল্ট। ২৫ বলে সাত চারে ৩৫ রান করেন তিনি।
পরের ওভারেও সফল বাংলাদেশ। এবার সাজঘরে ওয়ান ডাউনে নামা ডেভিড মালান। পেসার ইবাদতের বলে মিডঅনে ক্যাচ দেন তিনি। খুব সহজে তা লুফে নেন মাহমুদউল্লাহ। দুই বল খেললেও রানের খাতা খুলতে পারেননি মালান। ১০ ওভারে ২ উইকেটে ইংল্যান্ডের রান ৫৫।
দশম ওভারের প্রথম বলেই চমক দেখান সাকিব আল হাসান। সরাসরি বোল্ড করে দেন ইংলিশ ওপেনার জেসন রয়কে। ৩৩ বলে তিন চারে ১৯ রান করেন তিনি। তিন ওভারে তিন উইকেট হারানো ইংল্যান্ডকে পথ দেখাচ্ছেন কুরান ও ভিঞ্চ জুটি। শেষ পর্যন্ত ৮১ বলে ৪৯ রানের এই জুটি ভাঙতে পারে বাংলাদেশ।
মিরাজের বলে লিটনের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন স্যাম কুরান। ৪৯ বলে এক ছক্কা ও এক চারে ২৩ রান করেন তিনি। ১০৪ রানে পড়ল ইংল্যান্ডের চতুর্থ উইকেট। এরপর আবার সাকিব ঝলক। ফেরান ক্রমশ জমে যাওয়া জেমস ভিঞ্চকে। ৪৪ বলে তিন চার ও এক ছক্কায় ৩৮ রান করা ভিঞ্চ ক্যাচ দেন উইকেটের পেছনে মুশফিকের হাতে। ১২৭ রানে ইংল্যান্ডের পঞ্চম উইকেটের পতন।
বল হাতে এরপর চমক দেখান পেসার ইবাদত হোসেন। দারুণ বোলিংয়ে বোল্ড করে সাজঘরে ফেরান ইংলিশ অলরাউন্ডার মঈন আলীকে। ৫ বলে মাত্র ২ রান করেন মঈন। স্বীকৃত ব্যাটারদের মধ্যে ছিলেন জস বাটলার। ইংলিশ অধিনায়ককে ফেরান স্পিনার তাইজুল ইসলাম। হয়ে যান এলবিডব্লিউ। আম্পায়ার শুরুতে আউট দিলেও রিভিউ নেন বাটলার। তবে তাতে কাজ হয়নি। ২৪ বলে কোন বাউন্ডারি ছাড়া ২৬ রান করে ফেরেন বাটলার। ক্রিস ওকস ৩৪ রান করে সাজঘরে ফিরলে পরাজয় ত্বরান্বিত হয় সফরকারীদের।
বল হাতে বাংলাদেশের হয়ে চারটি উইকেট নেন সাকিব আল হাসান। তাইজুল ও ইবাদত দুটি, মোস্তাফিজ ও মিরাজ নেন একটি করে উইকেট।
এর আগে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের হয়ে ৭১ বলে সর্বোচ্চ ৭৫ রান করেন সাকিব। মুশফিক করেন ৭০ রান। ৭১ বলে ৫৩ রানের ইনিংস উপহার দেন নাজমুল হোসেন শান্ত।