ডেস্ক,১২ ডিসেম্বর ২০২২: আজ সরকারি মাধ্যমিক স্কুলগুলোতে ভর্তির লটারি অনুষ্ঠিত হবে। প্রথমে এই লটারি ১০ ডিসেম্বর হবার কথা থাকলেও তা পরিবর্তন করে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। সরকারি স্কুলে ৫৯ শতাংশ আসন কোটায় বরাদ্দ রাখা হয়েছে। সাধারণ শিক্ষার্থীরা ভর্তি সুযোগ পাবেন মাত্র ৪১ শতাংশ আসনে।
সোমবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুর ২টায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে কেন্দ্রীয় ভর্তির লটারির আয়োজন করা হবে। সরকারি স্কুলে ভর্তির লটারি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা স্কুলে ভর্তির নির্ধারিত ওয়েবসাইটে http://gsa.teletalk.com.bd লিংক থেকে তাদের নির্ধারিত আইডি ও পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে লটারির ফল দেখা যাবে।
এবারের লটারিতে আগামী শিক্ষাবর্ষের জন্য সরকারি বিদ্যালয়ে ১ লাখ ৭ হাজার ৮৯০ টি শূন্য আসনের বিপরীতে আবেদন জমা পড়েছে ৬ লাখ ২৬ হাজার ৫৯টি। সেই হিসেবে প্রতি আসনে ভর্তি হতে লড়বে ৫.৮ জন শিক্ষার্থী।
শিক্ষার্থীরা ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত ভর্তির আবেদন করার সুযোগ পেয়েছে। ৫৪০টি সরকারি মাধ্যমিকে প্রথম থেকে নবম শ্রেণির শূন্য আসনে ভর্তি হতে প্রায় ৬ লাখ ২৬ হাজার আবেদন জমা পড়েছে। শিক্ষার্থীরা প্রতিটি আবেদনে পাঁচটি করে স্কুল পছন্দ দিতে পেরেছে।
অনলাইন লটারি প্রক্রিয়ায় শিক্ষার্থী নির্বাচন করে ২৮ ডিসেম্বরের মধ্যে ভর্তি সম্পন্ন করতে হবে সরকারি স্কুলগুলোতে। সরাসরি লটারিতে ক্যাচমেন্ট এরিয়ার শিক্ষার্থীদের জন্য ৪০ শতাংশ কোটা সংরক্ষণ করতে হবে। এর বাইরে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান ও নাতি-নাতনিদের জন্য ৫ শতাংশ এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও এর অধীন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য ২ শতাংশ কোটা রাখা হয়েছে।
একই স্থানে মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেলে ৩টায় বেসরকারি মাধ্যমিকের (মহানগরী ও জেলার সদর উপজেলা পর্যায়) লটারি প্রক্রিয়া অনুষ্ঠিত হবে।
তবে বেসরকারিতে আগের ঘোষণা অনুযায়ী ১৩ ডিসেম্বর লটারি অনুষ্ঠিত হবে। বেসরকারিতে ৯ লাখ ২৫ হাজার ৭৮০ টি শূন্য আসনের বিপরীতে আবেদন জমা পড়েছে মাত্র ২ লাখ ৬০ হাজার ৯৩৩টি। ফলে আসন খালি থাকবে ৬ লাখ ৬৪ হাজার ৮৪৭টি।
আরও পড়ুন: প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষার সিলেবাস
এর আগে ২০২১ ও ২০২২ সালে প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত ভর্তি কার্যক্রম অনলাইন ও লটারির মাধ্যমে করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় সরকারি ও বেসরকারি (মহানগর, জেলা সদর ও উপজেলা সদর) মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ২০২৩ শিক্ষাবর্ষে ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করার সিদ্ধান্ত নেয় মাউশি