এছাড়া বিদ্যালয়ের মেয়েদের সাথে খারাপ দৃষ্টিতে তাকান। সভাপতি হিসাবে মনোনীত হবার পর থেকেই নিজের খেয়াল খুশিমত বিদ্যালয় পরিচালনা করে আসছেন। এসব বিষয়ে একাধিকবার বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কাছে প্রতিকার চেয়েও শিক্ষার্থীদের হতাশ হতে হয়েছে। আর এ কারণে ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা রবিবার সকালে একযোগে ক্লাস বর্জন করে রাস্তায় নেমে আসেন। এ সময় শিক্ষার্থীরা পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি সালাউদ্দীন কাজলের অপসারণ দাবিতে বিভিন্ন ধরণের শ্লোগান দেন। তারা বিদ্যালয়ের সামনের সড়কে অবস্থান নিয়ে বন্ধ করে দেয় ওই সড়কে যান চলাচল। পরে তারা একই দাবিতে মানববন্ধন করে।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন জীবননগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামীম রেজা ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান। তারা ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলেন এবং অভিযুক্ত সভাপতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার প্রতিশ্রুতি দিলে শিক্ষার্থীরা ক্লাসে ফিরে আসে। জীবননগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামীম রেজা জানান, শিক্ষার্থীদের অভিযোগ লিখিত আকারে দেয়ার জন্য বলা হয়েছে। অভিযোগ পেলেই তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক লুৎফর রহমান জানান, শিক্ষার্থীদের অভিযোগ বিষয়ে তিনি কিছুই অবগত ছিলেন না। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত সভাপতি সালাউদ্দীন কাজল জানান, যা কিছু করা হয়েছে তা বিদ্যালয় ও শিক্ষার্থীদের ভালর জন্যই। শিক্ষার্থীদের দিকে খারাপ নজরে তাকানোর বিষয়টি তিনি তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র বলে মন্তব্য করেন।