শিক্ষার্থীদের মোবাইল ফেরত দিচ্ছে না স্কলার্স হোম

scholarshome-Schooolসিলেটে হাফিজ মজুমদার শিক্ষা ট্রাস্ট পরিচালিত স্কলার্স হোম স্কুল অ্যান্ড কলেজের বিরুদ্ধে দেড় শতাধিক শিক্ষার্থীর মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে ফেরত না দেয়ার অভিযাগ পাওয়া গেছে। শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা স্কুলে গিয়ে মোবাইল ফেরত চাইলেও তা ফেরত না দিয়ে উল্টো হুমকি দেয়া হচ্ছে।

সিলেট শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানের কাছে স্কলার্স হোমের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করেছেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক বেদার আহমেদ। এছাড়া স্কলার্স হোমের শাহী ঈদগাহ শাখার অধ্যক্ষ বিগ্রেডিয়ার (অব.) জুবায়ের সিদ্দিকীর কাছে এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ করেছেন ওই ব্যক্তি।

অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে সোমবার অধ্যক্ষ বিগ্রেডিয়ার (অব.) জুবায়ের সিদ্দিকী বলেন, ‘আমাদের ভর্তির রিপোর্ট কার্ডেই লিখে দেয়া আছে ক্যাম্পাসে মোবাইল ফোন নিষিদ্ধ। তাই আমরা দেড়শোর বেশি ফোন বিভিন্ন সময়ে জব্দ করেছি।’

তিনি বলেন, ‘যেহেতু নিষিদ্ধ জিনিস নিয়ে এসেছে তাই এগুলো ফেরত দেয়ার প্রশ্নই ওঠে না। তিনি এক প্রশ্নের জবাবে উল্টো প্রশ্ন রাখেন, পিস্তল জব্দ করলে কি ফেরত দেয়া হয়?’

অভিযোগে বেদার আহমেদ বলেন, স্কলার্স হোম কর্তৃপক্ষ তার মেয়ের কাছে থেকে মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে আর ফেরত দিচ্ছে না। তিনি কলেজে গিয়ে ফোন ফেরত চাইলেও তা ফেরত দেয়া হয়নি। উল্টো হুমকি ধমকি দেয়া হচ্ছে।

ওই অভিযোগে আরো বলা হয়, কলেজ কর্তৃপক্ষ ১৭০ থেকে ১৮০টি মোবাইল ফোন শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে কেড়ে নিয়ে স্তূপ করে ফেলে রেখেছে। সংশ্লিষ্ট অভিভাবকরা নিতে এলে তাদেরকেও তা দেয়া হচ্ছে না। কেড়ে নেয়া মোবাইল ফোনের মধ্যে ১০ হাজার থেকে ৪০ হাজার টাকা দামের মোবাইলও রয়েছে। সবমিলিয়ে যার মূল্য হবে প্রায় ৩৬ লাখ টাকা।

এ ব্যাপারে অভিযোগকারী বেদার আহমদ বলেন, স্কলার্স হোমে গিয়ে আমি লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। অধ্যক্ষের কার্যালয়ের একজন কর্মকর্তা অভিযোগটি গ্রহণ করেছেন। এছাড়া সিলেট শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানের কাছেও অভিযোগ করেছি।

এ ব্যাপারে সিলেট শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান একেএম গোলাম কিবরিয়া তাপাদার বলেন, একজন অভিভাবক আমার কাছে অভিযোগ দিয়েছেন। এ ব্যাপারে জানতে স্কলার্স হোমের অধ্যক্ষের কাছে লিখিত জবাব চাওয়া হবে। তাঁরা সন্তোষজনক জবাব দিতে না পারলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।

এক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান বলেন, কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তার নিজস্ব নীতিমালা অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের মোবাইল ফোন জব্দ করতে পারে। তবে পরে শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের ডেকে সতর্ক করে তা ফেরত দেওয়া উচিত।

Facebooktwitterredditpinterestlinkedinby feather
Image Not Found

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।