শিক্ষক-কর্মচারীদের বকেয়াসহ ৯ মাসের বেতনের চেক হস্তান্তর

ঢাকাMAUS201: বেসরকারি স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষক-কর্মচারীদের এপ্রিল মাসের বেতন-ভাতার সরকারি অংশের (এমপিও) সঙ্গে গত আট মাসের বকেয়া বেতনের চারটি চেক ব্যাংকে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আগামী ১৫ মে (রোববার) পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের শাখা থেকে শিক্ষক-কর্মচারীরা তাদের স্ব-স্ব অ্যাকাউন্ট নম্বরের মাধ্যমে এপ্রিল মাসের বেতন-ভাতার সরকারি অংশ এবং গত বছরের জুলাই থেকে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এমপিওভুক্ত কর্মরত ও অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের আট মাসের বকেয়া উত্তোলন করতে পারবেন।

সোমবার (৯ মে) মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।

এতে বলা হয়, এপ্রিল মাসের বেতন-ভাতার সরকারি অংশের ১২টি ও গত বছরের জুলাই থেকে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এমপিওভুক্ত কর্মরত ও অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের আট মাসের বকেয়া বেতনের ২৪টি চেকসহ সর্বমোট ৩৬টি চেক হিসাব পত্রের মাধ্যমে অনুদান বণ্টনকারী অগ্রণী ও রূপালী ব্যাংক লিমিটেড এর প্রধান কার্যালয়ে এবং জনতা ও সোনালী ব্যাংক লিমিটেড এর স্থানীয় কার্যালয়ে দেওয়া হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চলতি বছরের মার্চ মাসের বেতন-ভাতার এমপিও কপি অথবা ভাউচার সংশ্লিষ্ট ব্যাংকে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে না পৌঁছানোর কারণে অথবা অন্য কোনো কারণে যেসব প্রতিষ্ঠান বেতন-ভাতা উত্তোলন করতে পারেনি, সেসব প্রতিষ্ঠান বর্তমান মাসের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তা উত্তোলন করতে পারবে।

নতুন জাতীয় বেতন স্কেল অনুযায়ী আট মাসের বকেয়া দিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় গত ৫ মে আদেশ জারি করে।

ওই সময় এমপিওভুক্ত প্রায় পাঁচ লাখ শিক্ষক-কর্মচারীর জন্য এপ্রিল মাসের বেতনের সরকারি অংশ হিসেবে ৯৪০ কোটি ৪৪ লাখ ৯০ হাজার টাকা এবং আট মাসের বকেয়া হিসেবে দুই হাজার ৬৬১ কোটি ৭৪ লাখ ২৪ হাজার টাকা সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের মাধ্যমে পাঠানো হয়।

গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর অষ্টম জাতীয় বেতন কাঠামোর (পে-স্কেল) গেজেট প্রকাশ করে সরকার। তবে শিক্ষকদের বিষয়ে অস্পষ্টতা থাকায় এ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে আসছিলেন তারা।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় গত বছরের ২০ ডিসেম্বর এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করে জানায়, ওই বছরের ১ জুলাই থেকে এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অনুদান-সহায়তা নতুন বেতন স্কেলে কার্যকর হবে।

এর আগে, গত ২৮ মার্চ অর্থ মন্ত্রণালয় শিক্ষক-কর্মচারীদের গত বছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ছয় মাসের বকেয়া দুই হাজার ৫৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা ছাড় দেয়।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা শিক্ষাবার্তাকে জানান, এমপিওভূক্ত বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষকরা এতো দিন আট হাজার টাকা পেয়ে আসছিলেন। দশম গ্রেডে তা হবে ১৬ হাজার টাকা। নবম গ্রেডে সিনিয়র সহকারী শিক্ষকের বেতন হবে ২২ হাজার টাকা, এতো দিন যা ছিল ১১ হাজার টাকা।

আর এমপিওভুক্ত কলেজের প্রভাষকের মূল বেতন নতুন গ্রেডে হবে ২২ হাজার টাকা, এতো দিন ছিল ১১ হাজার টাকা। সহকারী অধ্যাপকদের বেতন ষষ্ঠ গ্রেডে সাড়ে ৩৫ হাজার টাকা, এতো দিন ছিল ১৮ হাজার ৫০০ টাকা। আর অধ্যক্ষদের বেতন হবে ৫০ হাজার টাকা, এতো দিন পেয়েছেন ২৫ হাজার ৭৫০ টাকা।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা  জানান, বেসরকারি শিক্ষকরা মূল বেতনের শতভাগ সরকারি তহবিল থেকে পেয়ে থাকেন। তাদের বেতন-ভাতা বাবদ প্রতি মাসে লাগতো প্রায় ৬০০ কোটি টাকা।

Facebooktwitterredditpinterestlinkedinby feather
Image Not Found

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।