নিজস্ব প্রতিবেদক | ০৪ এপ্রিল, ২০২২
ফেসবুকসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের গুজব ছড়ানো বন্ধে ব্যর্থ হলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। গুজব ছড়ালে সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মাহে রমজানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর নামে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব সৃষ্টির পরিপ্রেক্ষিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, করোনার কারণে দীর্ঘদিন প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় প্রাথমিক স্তরে শিখন ঘাটতি তৈরি হয়। এটি পূরণে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান কার্যক্রম ২০ রমজান পর্যন্ত চালানোর সিদ্ধান্ত নেয় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর। এর বিরোধিতা করে কিছু শিক্ষক ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন। একপর্যায়ে এ নিয়ে গুজব ছড়াতে শুরু করে।
জানা গেছে, দিনাজপুরের গৌরীপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মো. আব্দুল লতিফ ফেসবুকে লেখেন, ‘হাজার স্যালুট প্রধানমন্ত্রী। অবশেষে প্রথম রোজা থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষণা দিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।’ পরে মানিকগঞ্জের বান্দুটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিল্পা রানী সরকার ফেসবুকে লেখেন, ‘অবশেষে প্রথম রোজা থেকেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষণা দিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।’
ফেসবুকে তাঁদের পোস্টের কারণে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া এক প্রধান শিক্ষককেও বরখাস্ত করা হয়েছে বলে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে।
এ বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক আলমগীর মুহম্মদ মনসুরুল আলম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা প্রাথমিক শিক্ষকদের গুজব সৃষ্টি বন্ধে ব্যর্থ হলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অধিদফতর থেকে আমরা শিক্ষকদের মনিটরিং করতে পারলে কর্মকর্তারা মনিটরিং করতে পারবেন না কেন? এ ব্যাপারে কেউ ব্যর্থ হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মিটিং করে আমরা কর্মকর্তাদের বিষয়টি জানিয়ে দিয়েছি। ‘