চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, তার বাবার অবস্থা এখন ভালো । তবে চিকিৎসকরা তাকে এখনো নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখবেন বলেই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
রাজ্জাকের শারীরিক অবস্থার সর্বশেষ খবর জানতে সাংবাদিকদের সোমবার সকাল অবধি অপেক্ষা করতে হতে পারে বলেও জানান সম্রাট।
শ্বাসকষ্ট নিয়ে গত ২৬ জুন ঢাকার গুলশানের ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি হন ৭৩ বছর বয়সী রাজ্জাক।
বর্তমানে বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞ ডা. আদনান ইউসুফ চৌধুরীর অধীনে চিকিৎসাধীন আছেন তিনি।
বাংলা চলচ্চিত্রের জনপ্রিয়তম অভিনেতা রাজ্জাক এখনও অভিনয়ে সক্রিয়। গত শতকের ষাটের দশকে ঢাকাই চলচ্চিত্রে পা রাখার আগে টেলিভিশনেও অভিনয় করেন তিনি। চলচ্চিত্রে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ২০১৪ সালে স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত হন রাজ্জাক। চলচ্চিত্রে অবদানের জন্য তিন বছর আগে তাকে আজীবন সম্মাননাও দেয় বাংলাদেশ সরকার। এছাড়া এই মাধ্যমে প্রায় সব পুরস্কারই তার ঝুলিতে রয়েছে।
রাজ্জাকের জন্ম ১৯৪২ সালের ২৩ জানুয়ারি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায়। স্কুলে মঞ্চ নাটকের মধ্য দিয়ে অভিনয়ে তার যাত্রা শুরু। ১৯৬৪ সালে বাংলাদেশে পাড়ি জমানোর পর নানা প্রতিকূলতার মধ্যে টেলিভিশনে অভিনয় শুরু করেন তিনি, যদিও তার টান ছিল চলচ্চিত্রের দিকে। ‘১৩ নম্বর ফেকু ওস্তাগর লেন’ চলচ্চিত্রে ছোট একটি চরিত্রে রূপায়নের মধ্য দিয়ে নিজের জাত চেনানোর পর তাকে আর ফিরে তাকে হয়নি। এরপর ডাক বাবু, কার বউসহ কয়েকটি চলচ্চিত্রের পর জহির রায়হানের বেহুলায় নায়ক হিসেবে অভিনয় তাকে ঢাকাই চলচ্চিত্রে ভিত তৈরি করে দেয়। তার উপর দাঁড়িয়ে ৩০০শ’র বেশি বাংলা ও উর্দু চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন তিনি।
তার উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রের মধ্যে রয়েছে- একটুকু আশা, ময়নামতি, মনের মতো বউ, নীল আকাশের নিচে, ক খ গ ঘ ঙ, জীবন থেকে নেয়া, স্বরলিপি, নাচের পুতুল, আলোর মিছিল, ওরা ১১ জন, জিঞ্জির, অনন্ত প্রেম, সোহাগ, কালো গোলাপ, আনার কলি, লাইলী মজনু, অশিক্ষিত, চন্দ্রনাথ, রাজলক্ষ্মী শ্রীকান্ত, সৎ ভাই, বাবা কেন আসামি ইত্যাদি।
অভিনয় ও প্রযোজনার পাশাপাশি ১৬টির বেশি চলচ্চিত্র পরিচালনা করেছেন রাজ্জাক।