রাজশাহীতে কলেজ শিক্ষকদের মারামারিতে হাড় ফাটল অধ্যক্ষের

Image

দুই শিক্ষকের মারামারি থামাতে গিয়ে আহত হয়েছেন রাজশাহী বঙ্গবন্ধু কলেজের অধ্যক্ষ। তার একটি হাতের হাড় ফেটে গেছে। আহত অধ্যক্ষসহ তিন শিক্ষকই রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। গত শুক্রবার বিকেলে অধ্যক্ষের কক্ষে এ ঘটনা ঘটে।

অধ্যক্ষ কামরুজ্জামান বলেন, তার কক্ষে শিক্ষক আবদুল্লাহ হেল শাফি প্রথমে গিয়াস উদ্দিনের গায়ে হাত তোলেন। কলেজটি সরকারীকরণের জন্য পরিদর্শনে আসা চারজন কর্মকর্তার সঙ্গে বসে কাজ করছিলেন তিনি।

বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে হইচই শুনে তিনি তার কার্যালয়ে যান। সেখানে গিয়াস উদ্দিন ও আবদুল্লাহ হেল শাফির মারামারি ঠেকাতে গিয়ে তিনি আহত হন। অন্য শিক্ষকেরা আবদুল্লাহ হেলা শাফিকে একটি কক্ষে দরজা দিয়ে আটকে রাখেন। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে নগরের চন্দ্রিমা থানায় নিয়ে যান।

অধ্যক্ষ কামরুজ্জামান বলেন, তিনি হাসপাতালে গিয়ে এক্স-রে করে দেখেন তার ঘাড়ের বাম পাশের হাড় ফেটে গেছে। তার অভিযোগ, তিনি অধ্যক্ষ হয়েছেন, এটা আবদুল্লাহ হেল শাফি মানতে পারেননি। ক্ষোভ থেকে তিনি তার ওপর হামলা করেছেন।

এ বিষয়ে কলেজের ইসলাম শিক্ষা বিষয়ের শিক্ষক গিয়াস উদ্দিন বলেন, ‘আবদুল্লাহ হেল শাফি আমাকে অধ্যক্ষকে জড়িয়ে খারাপ কথা বলেছেন। এ নিয়ে তর্ক-বিতর্কের একপর্যায়ে তিনি আমার গায়ে হাত তুলেছেন। এতে আমার গাল কেটে রক্ত বের হয়েছে। আমি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছি।’

মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে আবদুল্লাহ হেল শাফি বলেন, ‘কলেজে নিয়োগসংক্রান্ত কাগজপত্রের কিছু অনিয়ম নিয়ে কথা বলার সময় মনে হলো গিয়াস উদ্দিন আমাকে আস্তে একটা ধাক্কা দিলেন। আমিও দিলাম। তিনি তখন আমাকে মেরেছেন, তারপর যা হয় বুঝতেই পারছেন।’ তার অভিযোগ, কলেজের অধ্যক্ষের অনুসারী শিক্ষকেরা তাকে মেরেছেন।
এ ঘটনায় কোনো শিক্ষকই মামলা করেননি। শিক্ষক গিয়াস উদ্দিন বলেন, ‘এটা প্রতিষ্ঠানের ব্যাপার। কলেজের গভর্নিং বডিতে আলোচনা করার পর যা করার করা হবে।’

নগরের চন্দ্রিমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম মাসুদ পারভেজ বলেন, যে শিক্ষককে পুলিশ উদ্ধার করেছে, তিনিও আহত ছিলেন। তাই তারা তাকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠিয়েছেন। এ বিষয়ে কেউ মামলা করেননি।

Facebooktwitterredditpinterestlinkedinby feather
Image Not Found

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।