যশোর নার্সিং ইন্সটিটিউট হোস্টেলে ১০ ছাত্রী বহিষ্কার

jessoreযশোর প্রতিনিধি:

যশোর নার্সিং ইন্সটিটিউট হোস্টেলের দশ ছাত্রী সেবিকাকে সাময়িক বহিষ্কার নিয়ে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ পাওয়া গেছে। কর্তৃপক্ষ বলছে, শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে ওই ছাত্রীদের হোস্টেল থেকে বহিষ্কারের সাময়িক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে ছাত্রীদের দাবি, হোস্টেল ইনচার্জের চাঁদাবাজির প্রতিবাদ করায় তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

বহিষ্কৃত ছাত্রীরা হলেন- ডিপ্লোমা ইন মিডওয়াইফারি তৃতীয় বর্ষের মনিরা ইয়াসমিন, কবিতা খাতুন, শ্যামলী আক্তার, রেশমা খাতুন, ইয়াসমিন খাতুন, বেবী খানম, সেলিনা খানম, দীপা বিশ্বাস এবং নার্সিং সায়েন্সে তৃতীয় বর্ষের দীপ্তি ও দীপাবলি। ইতোমধ্যে ছাত্রীরা হোস্টেল ত্যাগ করেছেন।

ছাত্রী সেবিকাদের অভিযোগ, ২ নভেম্বর প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের নবীন বরণ অনুষ্ঠিত হয়। ওই অনুষ্ঠানে খরচ বাবদ মেস ম্যানেজার রিজিয়াকে ৩১৫ জনের কাছ থেকে চাঁদা তোলার দায়িত্ব দেন ইনচার্জ সেলিনা ইয়াসমিন পুষ্প। ছাত্রীদের কাছ থেকে ৩৮ হাজার টাকা তোলা হয়। অথচ ওই অনুষ্ঠানে সর্বসাকুল্যে দশ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। এই চাঁদা আদায়ের প্রতিবাদ করায় হোস্টেল ইনচার্জের শাস্তির মুখে পড়েছেন ১০ ছাত্রী সেবিকা।

তবে চাঁদাবাজির অভিযোগ অস্বীকার করে হোস্টেল ইনচার্জ সেলিনা ইয়াসমিন পুষ্প জানান, কালীপূজা উপলক্ষে ২৮ ও ২৯ অক্টোবর ছাত্রী সেবিকাদের দুই দিনের ছুটি দেওয়া হয়। তাদের ৩০ অক্টোবর সকালে হোস্টেলে উপস্থিত হওয়ার কথা। কিন্তু ওই দিন দশ ছাত্রী সেবিকা হোস্টেলে না এসে সহপাঠীদের মাধ্যমে যোগদানপত্র জমা দেন। রাতে তাদের কক্ষে যাচাই করতে গিয়ে জালিয়াতির বিষয়টি ধরা পড়ে।

তিনি জানান, তাদের এমন আচরণ শৃঙ্খলা ভঙ্গের পর্যায় পড়ে। এ ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১০ ছাত্রী সেবিকাকে হোস্টেল থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।

নবীন বরণের চাঁদার টাকা সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘নবীন বরণ উপলক্ষে ছাত্রীদের কাছ থেকে ১০০ টাকা হারে আদায় করা হয়েছে। তবে সেটি ছাত্রীদের নিয়ে গঠিত ১৩ সদস্যের কমিটি করেছে। তারাই নবীন বরণ অনুষ্ঠান ও শিক্ষা উপকরণ ক্রয়ে সেই টাকা খরচ করেছে। আমার বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ সঠিক নয়।’

Facebooktwitterredditpinterestlinkedinby feather
Image Not Found

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।