নিজস্ব প্রতিবেদক: বিসিআইসির মেয়াদোত্তীর্ণ সিবিএ নেতাদের দাপটে চাকরি হারালেন চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারি মুক্তিযোদ্ধার সন্তান মিরাজ হোসেন। এর প্রতিবাদ করায় চাকরি হারনোর আশঙ্কা দেখা দিয়েছে আরও কয়েকজনের। এই মেয়াদোত্তীর্ণ সিবিএ নেতারা এক সময় বিএনপি জামায়াতের রাজনীতিতে যুক্ত থাকলেও এখন ক্ষমতাসীনদের সঙ্গে তাল মিলিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার সকালে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশন মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন বিসিআইসির কর্মচারিরা।
তারা জানান, গত ২২ সেপ্টেম্বর বিসিআিইসি কর্মচারী লীগের কমিটির মেয়াদ শেষ হয়। গত ১ আগষ্ট হাইকোর্টের নির্দেশনা আসে নির্বাচনের। কিন্তু কোন নির্বাচন দেয়া হয়নি। কর্মচারিদের স্বার্থরক্ষায় এই নির্বাচন দাবি করায় গত ২৫ সেপ্টেম্বর মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটির যোগসাজশে উপ-কর্মচারি প্রধান মান-১ স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে চাকরি থেকে অবসানের আদেশ প্রদান করা হয় মিরাজকে। এই কমিটির নেতারা বিনা নির্বাচনে আবারও ক্ষমতায় থাকার চেষ্টা চালালে অন্য কর্মচারিরা এর প্রতিবাদ জানান। এর ফলে ট্রেড ইউনিয়নের সম্ভাব্য প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীসহ ৪৩ জনের নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেয় এই মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি। এ নিয়ে বিসিআইসির কর্মচারিদের মধ্যে চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে। পাশাপাশি নির্বাচন দেয়ারও দাবি জানিয়েছেন তারা।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বিএনপি জামায়াতের আমলে কমিটিতে থাকা ৮ জন বর্তমান কমিটিতে রয়েছেন। তারা জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী হলেও এখন আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে ঢুকে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা চালাচ্ছে। বর্তমান সরকারের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন করতে অপচেষ্টা চালাচ্ছে এই চক্র বলে অভিযোগ তাদের। এ অবস্থায় মিরাজের চাকরি পুনর্বহাল ও ট্রেড ইউনিয়নের নির্বাচন দাবি করেছেন বিসিআইসির কর্মচারিরা।