মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় ৯০ হাজারেরও বেশি আবেদন

dhaka medicalঅতীতের সকল রেকর্ড ভঙ্গ করে সরকারি বেসরকারি মেডিকেল কলেজের এমবিবিএস কোর্সে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য সর্বোচ্চ সংখ্যক ৯০ হাজারেরও বেশি ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীর আবেদন জমা পড়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের অধীন আগামী ৭ অক্টোবর অনুষ্ঠিত ভর্তি পরীক্ষার জন্য গত ৩১ আগস্ট দুপুর ১২টা থেকে অনলাইনে আবেদন গ্রহণ শুরু হয়। গতকাল বুধবার রাত ১২টা পর্যন্ত ছিল অনলাইনে আবেদনের শেষ সময়।

নির্ধারিত সময়ে মেডিকেলে ভর্তিচ্ছু মোট ৯০ হাজার ৩৩৯ জন শিক্ষার্থীর আবেদনপত্র জমা পড়ে। মোট আবেদনকারী হিসেবে সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির জন্য প্রতিটি আসনের বিপরীতে এ বছর ২৮ জন শিক্ষার্থীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হবে। গত বছরের ভর্তি পরীক্ষায় আবেদনকারীর সংখ্যা ছিল কম-বেশি ৮৪ হাজার।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা ও জনশক্তি উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. আবদুর রশীদ বুধবার এ খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেন।

গত বছর পর্যন্ত সরকারি বেসরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজের ভর্তি পরীক্ষা অভিন্ন প্রশ্নপত্রে একইদিন একই সময় অনুষ্ঠিত হলেও এবার মেডিকেল কলেজের ভর্তি পরীক্ষা পৃথকভাবে গ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়।

স্বাস্থ্য অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, ৭ অক্টোবরের ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে ও ভর্তি পরীক্ষার আবেদনকারীদের তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করতে বুধবার সকালে স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা ও জনশক্তি উন্নয়ন) পরিচালকের সভাপতিত্বে বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি মেডিকেল কলেজের প্রিন্সিপাল ও চিকিৎসা শিক্ষা বিশেষজ্ঞদের বৈঠক শুরু হয়।

মেডিকেল কলেজে ভর্তি পরীক্ষা কমিটির সদস্য বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমডিসি) রেজিস্ট্রার ডা. জেড এইচ বসুনিয়া বৈঠক শুরুর প্রাক্কালে জাগো নিউজকে বলেন, চলতি বছর সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা গ্রহণে সর্বাত্মক সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা নিয়েই মূলত আলোচনা হতে পারে।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের সর্বশেষ প্রকাশিত বার্ষিক প্রতিবেদন অনুসারে, দেশে বর্তমানে ১০০টি মেডিকেল (সরকারি ৩০, বেসরকারি ৬৪ ও আমর্ড ফোর্সেস ৬টি) ও ৩৩টি ডেন্টাল (৯টি সরকারি ও ২৪টি বেসরকারি) কলেজ রয়েছে। এমবিবিএসে মোট আসন সংখ্যা ৯ হাজার ৬৭৯ ও বিডিএসে ১ হাজার ৮৩২টি।

সরকারি ৩০টি মেডিকেল কলেজে মোট আসন সংখ্যা ৩ হাজার ২১২টি। তার মধ্যে সাধারণ কোটায় ৩ হাজার ১২৮টি, মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ৬৪টি, পার্বত্য এলাকার উপজাতি কোটায় ৯টি ও পার্বত্য এলাকার উপজাতি কোটায় ৩টি ও অন্যান্য জেলার উপজাতিদের জন্য ৮টি আসন সংরক্ষিত রয়েছে।

Facebooktwitterredditpinterestlinkedinby feather
Image Not Found

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।