মাল্টিমিডিয়া ডিজিটাল ভার্সনে চালু হলো প্রাথমিক শিক্ষা

ঢাকা: প্রাথমিক শিক্ষাকে ইন্টারঅ্যাকটিভ মাল্টিমিডিয়া ডিজিটাল ভার্সনে চালু করা হয়েছে।

রোববার (ফেব্রুয়ারি ১৪) ‘প্রাথমিক শিক্ষা কন্টেন্ট ইন্টারঅ্যাকটিভ মাল্টিমিডিয়া ডিজিটাল ভার্সনে রূপান্তর’ শীর্ষক কর্মসূচির আওতায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য প্রস্তুতকৃত ডিজিটাল কন্টেন্টের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
Digital_520569601
প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে এর উদ্বোধন করা হয়।

ইন্টারঅ্যাকটিভ মাল্টিমিডিয়া ডিজিটাল ভার্সনে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট অনুযায়ী বিভিন্ন ধরনের ছবি, চার্ট, ডায়াগ্রাম, অডিও, ভিডিওসহ মাল্টিমিডিয়া উপকরণ সংযোজন করে অ্যানিমেশনের মাধ্যমে পাঠ্যপুস্তকের বিষয়গুলোকে আরো আকর্ষণীয় ও সহজবোধ্য করে উপস্থাপন করা হয়।

শিশুদের শিক্ষার পরিবেশ, পাঠদান পদ্ধতি ও বিষয়বস্তু আকর্ষণীয় ও আনন্দময় করে তোলার পাশাপাশি মুখস্থ বিদ্যার পরিবর্তে চিন্তাশক্তির বিকাশ, কল্পনা শক্তি এবং অনুসন্ধিৎসু মনন সৃষ্টি করবে এ মাল্টিমিডিয়া ডিজিটাল কন্টেন্ট।

জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) কর্তৃক প্রণীত প্রাথমিক শিক্ষাক্রমের আলোকে প্রথম-পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত বাংলা, ইংরেজি, গণিত, বিজ্ঞান এবং বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় বিষয়ক ১৭টি বইয়ের ইন্টারঅ্যাকটিভ মাল্টিমিডিয়া ডিজিটাল শিক্ষা কন্টেন্ট তৈরি করা হয়।
বাংলা, গণিত, বিজ্ঞান এবং বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় বিষয়ক ১২টি বই ব্র্যাক এবং ইংরেজি বিষয়ের ৫টি বইয়ের কন্টেন্ট তৈরিতে সেভ দ্য চিলড্রেন কারিগরি সহায়তা করেছে।

মাল্টিমিডিয়া ডিজিটাল ভার্সনে রূপান্তরিত এ কন্টেন্ট শিক্ষার্থী, অভিভাবক, শিক্ষকরা http://digitalcontent.ictd.gov.bd/ ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করতে পারবেন।

ডিজিটাল শিক্ষা কন্টেন্টগুলো বিনামূল্যে ডাউনলোড করে অথবা যেকোন মোবাইলের মাধ্যমে যেকেউ স্বশিক্ষণে বা ক্লাসরুমে ব্যবহারের মাধ্যমে বিষয়ভিত্তিক ধারণা স্পষ্ট ও উন্নততর করতে পারবেন।

বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বিষয়ভিত্তিক শিক্ষক/প্রশিক্ষক, ব্যকরণ ও উচ্চারণ বিশেষজ্ঞ, কারিকুলাম বিশেষজ্ঞ, শিক্ষাবিদ, শিশু মনোবিদ, কালার বিশেষজ্ঞ, প্রোগামিং ও অ্যানিমেশন বিশেষজ্ঞদের অংশগ্রহণ ও মতামতের ভিত্তিতে প্রাথমিক শিক্ষা কন্টেন্ট ইন্টারঅ্যাকটিভ মাল্টিমিডিয়া ডিজিটাল ভার্সন তৈরি করা হয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, ইন্টারঅ্যাকটিভ মাল্টিমিডিয়া ডিজিটাল কন্টেন্টগুলো শ্রেণিকক্ষে ব্যবহারের মাধ্যমে পাঠ্য বিষয়কে সহজ এবং শিখন-শেখানো প্রক্রিয়াকে অংশগ্রহণমূলক, আকর্ষণীয় ও আনন্দদায়ক করবে। এছাড়া এর মাধ্যমে শিক্ষক ও শিক্ষার্থী উভয়ের জন্য স্বশিক্ষণের ব্যবস্থার পাশাপাশি প্রত্যন্ত অঞ্চলের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের আধুনিক কম্পিউটার প্রযুক্তির সঙ্গে পরিচিত করানো যাবে।

সরকারের রূপকল্প ২০২১: ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের সহায়ক হিসেবে এ কর্মসূচি।

ইতোমধ্যে প্রায় ১,৫০০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একটি করে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম স্থাপন করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একটি করে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম স্থাপন করার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের।

জ্ঞান, মেধা ও মননে আধুনিক এবং চিন্তা-চেতনায় অগ্রসরমান সুশিক্ষিত জাতি গড়তে শিক্ষার বিকল্প নেই। আধুনিক যুগে শিক্ষার অবিচ্ছেদ্য অংশ কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার। এসব বিষয়কে গুরুত্ব দিয়ে জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০, জাতীয় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি নীতিমালা ২০০৯ ও ৭ম পঞ্চবাষির্কী পরিকল্পনায় বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় কম্পিউটার, মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম ও তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহারকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। এরই ধারাবাহিকতায় প্রাথমিক শিক্ষা কন্টেন্ট ইন্টারঅ্যাকটিভ মাল্টিমিডিয়া ডিজিটাল ভার্সন।

Facebooktwitterredditpinterestlinkedinby feather
Image Not Found

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।