দেশের উত্তরের জেলা ঠাকুরগাঁওয়ে নতুন একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে। এই বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করতে ‘ঠাকুরগাঁও বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০২৩’ এর খসড়ায় চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। আজ সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৈঠক শেষে বিকেলে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
আরো পড়ুন: ২৪৮ শিক্ষক নিয়োগের গণবিজ্ঞপ্তি চলতি সপ্তাহে
তিনি বলেন, ঠাকুরগাঁও বিশ্ববিদ্যালয় আইনের চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এটি যে নামে উপস্থাপিত হয়েছিল, ঠিক সেই নামেই অনুমোদিত হয়েছে।
জানা যায়, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে ‘ঠাকুরগাঁও বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০২২’ এর খসড়ায় নীতিগত অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা। পরে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেছিলেন, অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য যে আইন আছে, তা অনুসরণ করেই নতুই এ আইন হচ্ছে।
তিনি আরও বলেছিলেন, অন্য সব বিশ্ববিদ্যালয়ের মত রাষ্ট্রপতি এ বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য হবেন, তিনি একজন স্বনামধন্য শিক্ষাবিদকে চার বছরের মেয়াদে ভিসি হিসেবে নিয়োগ দেবেন। দু-জন থাকবেন উপ-উপাচার্য, একজন থাকবেন ট্রেজারার। তারা দেখাশুনা করবেন। এছাড়া অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মত সেখানেও একটি তহবিল থাকবে, রেজিস্ট্রার অফিস থাকবে। খসড়া আইনে বলা হয়েছে, কার্যক্রম ও শিক্ষাক্রম পরিচালনার জন্য এ বিশ্ববিদ্যালয় বিধি-প্রবিধি করে নিতে পারবে।
ঠাকুরগাঁও বিশ্ববিদ্যালয় আইনেও এ বিষয়গুলো থাকবে জানিয়ে খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেছিলেন, ২০১৮ সালের ২৯ মার্চ ঠাকুরগাঁও সফরকালে প্রধানমন্ত্রী প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ওই এলাকায় কোনো বিশ্ববিদ্যালয় নেই, সেটি করা হবে। এই আইনটিও সেইম, একই জিনিস।