প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রবেশপত্র পেতে বিড়ম্বনা

নিজস্ব প্রতিবেদক,২০ মে:
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রবেশপত্র পাওয়া নিয়ে নতুন জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। আগামী ২৪ মে প্রথম ধাপের লিখিত পরীক্ষা সময় নির্ধারণ করা হলেও অধিকাংশ প্রার্থী নির্ধারিত ওয়েবসাইটে প্রবেশপত্র খুঁজে পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।




একাধিক প্রার্থী অভিযোগ করেন, আগামী ২৪ মে সকাল ১০টায় প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগের লিখিত পরীক্ষার সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে গতকাল রোববার প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের (ডিপিই) ওয়েবসাইটে পরীক্ষার প্রবেশপত্র ছাড়া হয়েছে বলে মোবাইলে এমএসএস দেয়া হয়েছে। কিন্তু ঘরে-বাহিরে বিভিন্ন কম্পিউটারে বারবার চেষ্টা করার পরও অ্যাডমিট কার্ড খুঁজে পাওয়া যায়নি। বারবার চেষ্টা করেও তারা ব্যর্থ হয়েছেন।
আরো পড়ুন> সহকারী শিক্ষক থেকে উপজেলা শিক্ষা অফিসার

লিমন আহমেদ নামে ঢাকা জেলার এক পরীক্ষার্থী বলেন, ‘গতকাল রাতে এসএমএস করে প্রবেশপত্র ডাউনলোড করতে ইউজার আইডি ও পার্সওয়ার্ড দেয়া হয়েছে। কিন্তু আজ সোমবার বারবার চেষ্টা করেও প্রবেশপত্র পাওয়া যায়নি। ইউজার আইডি ও পার্সওয়ার্ড দিলে ইনভেলিড দেখানো হচ্ছে।’ পাঁচ দফায় পরীক্ষা পিছিয়ে ২৪ মে পরীক্ষা আয়োজনের সময় নির্ধারণ করা হলেও প্রবেশপত্র না পাওয়ায় তিনিসহ একাধিক প্রার্থী বিপাকে পড়েছেন বলে অভিযোগ লিমনের।

তবে সার্ভার আপডেট করার কারণে সাময়িক কিছুটি সমস্যা দেখা দিয়েছে বলে জানান ডিপিইর নিয়োগ শাখার সহকারী পরিচালক আতিক বিন সাত্তার। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ‘সোমবার থেকে নিয়োগ পরীক্ষার প্রবেশপত্র ছাড়া হলেও বুয়েট থেকে সার্ভার আপডেট কাজ করায় অনেকে অ্যাডমিট কার্ড পাচ্ছেন না। অনেক প্রার্থী ফোন করে আমাদের এমন অভিযোগ দিয়েছেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বুয়েটের সঙ্গে কথা বলেছি, আজ বিকেল ৪টার পর থেকে প্রবেশপত্র পেতে আর কোনো সমস্যা থাকবে না বলে জানানো হয়েছে। তারপরও যদি কারো কোনো সমস্যা হয় তা সমাধানে হেল্প লাইন হিসেবে দুটি টেলিটক নম্বর দেয়া হবে। কেউ কোনো সমস্যা মনে করলে এসব নম্বরে ফোন করে সমাধান পেয়ে যাবেন।’

তিন পার্বত্য জেলা বাদে ৬১ জেলার ২৪ লাখ এক হাজার ৯১৯ জন প্রার্থীর প্রায় ১২ হাজার পদের বিপরীতে এ পরীক্ষায় অংশ নেয়ার কথা রয়েছে।

জানা গেছে, রাজস্ব খাতভুক্ত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের লিখিত পরীক্ষার সর্বশেষ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রথম ধাপে ২৪ মে, দ্বিতীয় ধাপে ৩১ মে, তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা ২১ জুন এবং চতুর্থ ধাপের পরীক্ষা হবে ২৮ জুন।

প্রশ্ন ফাঁস ঠেকাতে কয়েক বছর ধরে প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন পরীক্ষার দিন সকালে ডিজিটাল পদ্ধতিতে ছাপিয়ে পরীক্ষা নেয়া হচ্ছে। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের মৌখিক পরীক্ষা নিয়ে চূড়ান্তভাবে নিয়োগের জন্য মনোনীত করা হবে।

জানা গেছে, এবার নিয়োগ পরীক্ষা বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) তত্ত্বাবধানে সম্পূর্ণ ডিজিটালাইজড পদ্ধতিতে নেয়া হবে। নির্ধারিত জেলায় পরীক্ষার আগের রাতে ইন্টারনেটের মাধ্যমে জেলা প্রশাসকের (ডিসি) কাছে প্রশ্নপত্রের সব সেট পাঠানো হবে। পরীক্ষার দিন সকাল ৮টায় প্রশ্নপত্র ছাপিয়ে তা কেন্দ্রে পৌঁছে দেয়া হবে। পৌর এলাকার মধ্যে এবার পরীক্ষা নেয়া হবে। আবেদনকারীর আসন বুয়েট অত্যাধুনিক সফটওয়্যারের মাধ্যমে নির্ধারণ করে দেবে। একই সঙ্গে আবেদনকারীর আসন বণ্টন অনুযায়ী প্রশ্নের সেট নির্ধারণ করে দেযা হবে। প্রশ্নফাঁস ঠেকাতে এবার ২০ সেট প্রশ্ন তৈরি করা হবে।

Facebooktwitterredditpinterestlinkedinby feather
Image Not Found

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।