পাঠ্যবইয়ে ভুল: বিশেষজ্ঞ-তদন্ত কমিটি করে প্রজ্ঞাপন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক,৩১ জানুয়ারী ২০২৩: পাঠ্যবইয়ের ভুল-ক্রটি ও দোষী ব্যক্তিদের খুঁজে বের করতে আলাদা দুটি কমিটি করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। প্রথমটি কারিকুলাম বিশেষজ্ঞ কমিটি ও দ্বিতীয়টি তদন্ত কমিটি। দুটি কমিটিই সাত সদস্যবিশিষ্ট।

মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। সেখানে ভুল সংশোধনে প্রথম কমিটিকে এক মাস সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে দ্বিতীয় কমিটিকে ২১ কর্মদিবস সময় দেওয়া হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে দুই কমিটিকে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। এর আগে ২৯ জানুয়ারি শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি কমিটি দুটির অনুমোদন দেন।

আরো পড়ুন: শূন্য পাস করা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ

শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, পাঠ্যপুস্তকে ভুল চিহ্নিতপূর্বক তা সংশোধনে প্রয়োজনীয় সুপারিশ প্রদান করবে বিশেষজ্ঞ কমিটি, যারা এক মাসের প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন।

প্রজ্ঞাপনে জানা গেছে, বিশেষজ্ঞ কমিটিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ড. আব্দুল হালিমকে আহ্বায়ক করে সাত সদস্যবিশিষ্ট করা হয়েছে। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের (মাউশি) উপ-পরিচালক মো. আজিজ উদ্দিন সদস্য সচিব করা হয়েছে।

সদস্য হিসেবে রয়েছেন- শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক এবং নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. ওয়াহেদুজ্জামান চাঁন, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের সদস্য (পাঠ্যপুস্তক) লুৎফর রহমান, কারিগরি মাদরাসা বিভাগের একজন উপ-সচিব, ইসলামি ফাউন্ডেশনের একজন পরিচালক ও মতিঝিল সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাজমুল নাহার শাহীন রয়েছেন।

পাঠ্যপুস্তকে ভুলত্রুটি ও বিতর্কিত বিষয় খুঁজে বের করে ৩০ কর্মদিবসের মধ্যে তাদের প্রতিবেদন জমা দিতে হবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে।

অন্য কমিটির আহ্বায়ক শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব খালেদা আক্তার। এ কমিটি ভুল-ভ্রান্তির জন্য জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) কোন কোন কর্মকর্তা জড়িত তাদের খুঁজে বের করবে। এ কমিটিকে প্রতিবেদন দিতে হবে ৩ সপ্তাহের মধ্যে। তদন্ত কমিটিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের উপ-সচিব মিজানুর রহমানকে সদস্যসচিব করা হয়েছে। এই কমিটিতে সদস্য হিসেবে যুগ্ম সচিব মোল্লা মিজানুর রহমান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একজন পরিচালক, কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগের একজন উপ-সচিব, মাউশির পরিচালক অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম খান, বিএফ শাহীন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক আব্দুল মান্নান মিয়াকে রাখা হয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, তদন্ত কমিটি মূলত পাঠ্যবইয়ে যেসব ভুলক্রটি ধরা পড়ছে তা কীভাবে হয়েছে, কারা এর সঙ্গে দায়ী সেসব ব্যক্তিদের খুঁজে বের করে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তির সুপারিশ করবে। এই কমিটিকে ২১ কর্মদিবস সময় দেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে তাদের প্রতিবেদন দিতে বলা হবে।

গত ২৪ জানুয়ারি শিক্ষামন্ত্রী ড. দীপু মনি নতুন শিক্ষাবর্ষের পাঠ্যবইয়ে ভুলভ্রান্তি, তথ্য বিকৃতি ও ধর্মীয় উস্কানি সংশোধনসহ জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করতে উচ্চপর্যায়ের দুটি তদন্ত কমিটি গঠনের ঘোষণা দেন।

Facebooktwitterredditpinterestlinkedinby feather
Image Not Found

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।