এস কে দাস : দেশের সবচেয়ে বিদ্যুত বিতরণ কোম্পানি পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড ‘আরইবি’র’ সংযোগ এবং সেবা পেতে প্রতিটি ক্ষেত্রে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। দুর্নীতির স্বীকার করে আরইবি’র চেয়ারম্যান জানিয়েছেন এই অভিযোগে গত দুই বছরে চারজন মহাব্যবস্থাপকসহ ৩০ জনকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।
সবাই বিদ্যুত সংযোগ পেতে আগ্রহী। সরকারও ২০২০ সালের মধ্যে সবাইকে বিদ্যুত দিতে চায়। কিন্তু গ্রাহকদের অভিযোগ বিদ্যুতের সংযোগ এবং সেবা পেতে ঘাটে ঘাটে ঘুষ দিতে হয়, সেই সাথে হয়রানিতে পড়তে হয় তাদেরকে। এমনকি পল্লী বিদ্যুতের নীতিমালার মধ্যে থেকেও বিদ্যুত সংযোগ পাচ্ছেন না গ্রাহকরা।
এমন দুর্নীতিতে আরইবি নিজেই উদ্বিগ্ন। গত দুই বছরে কুমিল্লা, লালমনিরহাট, নীলফামারি এবং কুড়িগ্রামের ব্যবস্থাপককে চারকিচ্যুত করা হয়েছে। কিন্তু এতেও কমছে না দুর্নীতি। তাই আরো ২৭ জনকে বিভিন্ন সমিতি থেকে প্রত্যাহার করে তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করছে প্রতিষ্ঠানটি।
আরইবি চেয়ারম্যান বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মইন উদ্দিন বলেন, অনেককে আমরা শাস্তির আওতায় এনেছি এবং এখনও অনেকের বিরুদ্ধে তদন্ত হচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
তিনি আরো বলেন, দুর্নীতি ঠেকাতে জুমার নামাযের সময় মসজিদে মসজিদে বলা হচ্ছে। এমনকি গ্রামে গ্রামে মাইকিং করে বলা হচ্ছে নির্দিষ্ট ফি-তে সবাইকে বিদ্যুত দেওয়া হবে।
বর্তমানে আরইবির ৭৭ টি সমিতির এক কোটি ত্রিশ লাখের বেশি গ্রাহক আছে। এদের মধ্যে ১৭ টি সমিতি লাভ করছে বাকী ৬০ টি সমিতি লোকসানে আছে।
by