৪০তম বিসিএসে উত্তীর্ণ নন-ক্যাডারে চাকরিপ্রার্থীদের অপেক্ষা শেষ হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নন-ক্যাডারের নিয়োগ বিধিমালা অনুমোদন দিয়েছেন। শিগগিরই এটি গেজেট আকারে প্রকাশিত হবে। আজ শুক্রবার (৯ জুন) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মেজবাহ্ উদ্দিন চৌধুরী গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে ৪০তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ হয়েছে গতবছর। এক বছর পার হলেও আটকে আছে নন-ক্যাডার পদে নিয়োগের সুপারিশ। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের সাড়ে ৫ বছরের বেশি অতিবাহিত হলেও নিয়োগের সুপারিশ না পাওয়ায় বিপাকে রয়েছেন চাকরির অপেক্ষায় থাকা ৬ হাজার প্রার্থী।
৪০তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয় ২০১৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর। ২০১৯ সালের ৩ মে প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ২০২০ সালের ৪ জানুয়ারি হয় লিখিত পরীক্ষা। এরপর করোনাভাইরাসের কারণে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকে কার্যক্রম। দীর্ঘদিন স্থগিত থাকার পর গতবছরের ৩০ মার্চ এই বিসিএসের চূড়ান্ত ফল ঘোষণা করা হয়।
নিয়ম অনুযায়ী, এক মাসের মধ্যে নন-ক্যাডারে নিয়োগের সুপারিশ করার কথা থাকলেও ৪০তম বিসিএসসে তা হয়নি। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মেজবাহ্ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, নন-ক্যাডারের নিয়োগ বিধিমালা অনুমোদন দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। খুব শিগগিরই এটি গেজেট আকারে প্রকাশ করবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এর ফলে ৪০তম বিসিএসে নন-ক্যাডারে নিয়োগ সুপারিশের যে বাধা ছিল সেটি কেটে যাবে।
আরও পড়ুন: তিন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে বদলি
এদিকে, আগের বিসিএসগুলোতে নন-ক্যাডার থেকে যেভাবে নিয়োগ চলে আসছিল; হঠাৎ করে পিএসসি সেটি বাদ দিয়ে নতুন একটি নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করে। নতুন পদ্ধতি বাদ দিয়ে আগের পদ্ধতিতে নিয়োগ দেওয়ার দাবিতে গেল বছরের ৬ অক্টোবর মানববন্ধন করেছিল ৪০তম নন-ক্যাডার প্রার্থীরা। ১৬ অক্টোবর একই দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সমনে প্রতিবাদ সমাবেশ এবং মানববন্ধন করা হয়।
সংশোধিত বিধিতে বলা হয়েছে, বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের সময় ক্যাডার পদের পাশাপাশি নন-ক্যাডারের শূন্য পদের তথ্য উল্লেখ করতে হবে। তবে এই বিধি অনুসরণ না করে ১৭টি বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে পিএসসি। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ২৮তম বিসিএস থেকে ৩৪তম বিসিএস পর্যন্ত নন-ক্যাডারে নিয়োগের বৈধতা দিয়েছিল।
তবে ৩৫তম বিসিএস থেকে ৩৮তম বিসিএস পর্যন্ত বিধি সংশোধন না করেই নন-ক্যাডারে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়। বিষয়টি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নজরে আনা হলে বিধি সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হয়। তবে সংশোধিত বিধি এখনো অনুমোদন হয়নি।
চাকরিপ্রার্থীদের ভোগান্তির বিষয়টি স্বীকার করে পিএসসি চেয়ারম্যান সোহরাব হোসাইন বলেন, নিয়োগ প্রক্রিয়ায় দেরি হওয়ায় কিছুটা ভোগান্তি হলেও এতে প্রার্থীদের লাভ বেশি। কেননা নিয়োগে দেরি হওয়ায় এক হাজার পদ যুক্ত হয়েছে। সব মিলিয়ে ৪০তম বিসিএস থেকে নন-ক্যাডারে চার হাজারের বেশি প্রার্থী নিয়োগ পাবেন।