ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএর সুবর্ণজয়ন্তী

নিজস্ব প্রতিবেদক :

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্য ইনস্টিটিউট অব বিজনেস স্টাডিজ বা ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউটের (আইবিএ) সুবর্ণজয়ন্তী উৎসব উদযাপিত হয়েছে।

সুবর্ণজয়ন্তী উৎসব উপলক্ষে বৃহস্পতিবার আয়োজিত অনুষ্ঠানে আইবিএর বিগত ৫০ বছরের দীর্ঘ ইতিহাসের শিক্ষাসহ সব বর্ণাঢ্য কার্যক্রমের ওপর স্মৃতিচারণ ও আলোকপাত করা হয়।

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের প্রধান অতিথি হিসেবে আইবিএর ৫০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ড. নাসরীন আহমেদ এবং উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) ড. মো. আক্তারুজ্জামান।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আইবিএ অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন ও আইবিএর পরিচালক অধ্যাপক ড. এ কে এম সাইফুল মজিদ। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক।

আইবিএর পরিচালক অধ্যাপক ড. এ কে এম সাইফুল মজিদ বলেন, দেশে ব্যবসায় শিক্ষার উন্নয়নে ও এমবিএ ডিগ্রি প্রদানের উদ্দেশ্য নিয়ে আইবিএ ১৯৬৬ সালে পথিকৃৎ প্রতিষ্ঠান হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের ব্লুমিংটনের ইন্ডিয়ানা ইউনিভার্সিটির সহযোগিতায় যাত্রা শুরু করে।

তিনি বলেন, পরবর্তী সময়ে দেশে চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে আইবিএ এক এক করে বিবিএ, ইএমবিএ, এমফিল, ডিবিএ, পিএইচডি ও ম্যানেজমেন্ট ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম চালু করে। এর ফলে আজ আমরা জানি, দেশে আইবিএর সাবেক শিক্ষার্থী অর্থাৎ এ প্রতিষ্ঠান থেকে ডিগ্রি নিয়ে যাওয়া শিক্ষার্থীরা ব্যবসায়িক জগতে নিজ নিজ ক্ষেত্রে সাফল্য ও সুনামের সাথে শীর্ষ পর্যায়ে অবস্থান করছেন।

আইবিএ অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বলেন, আইবিএর সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠানে আপনাদের সবার মাঝে উপস্থিত থাকতে পেরে আমি আনন্দিত। শিক্ষায় গত ৫০ বছরের সফলতার সুবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি অন্যতম হৃৎপিণ্ড হয়ে উঠা প্রতিষ্ঠান এবং জাতীয়ভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানে পরিণত হওয়া আইবিএর পথচলার একজন অংশীদার হতে পেরে আমি গর্ববোধ করছি।

Facebooktwitterredditpinterestlinkedinby feather
Image Not Found

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।