নিজস্ব প্রতিবেদক | ২৩ মে, ২০২২
সারাদেশে জাতীয়করণকৃত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪৮ হাজার ৭২০ শিক্ষকের টাইম স্কেলের বিষয়ে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল খারিজ করে দিয়েছেন আদালত।
সোমবার প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন। আদালতে রিটকারীদের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মোকছেদুল ইসলাম।
গত ১১ এপ্রিল সারাদেশে জাতীয়করণকৃত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪৮ হাজার ৭২০ শিক্ষকের টাইম স্কেল বিষয়ে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল শুনানির জন্য ২২ মে দিন ধার্য করেন আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ আদেশ দিয়েছিলেন।
গত বছরের ১৪ জুন সারাদেশে জাতীয়করণকৃত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪৮ হাজার ৭২০ শিক্ষকের টাইম স্কেল ফেরত দিতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের পরিপত্র নিয়ে জারি করা রুল খারিজের বিরুদ্ধে আপিল দায়ের করা হয়। ৪৮ হাজার শিক্ষকের পক্ষে ব্যারিস্টার মোকছেদুল ইসলাম এ আবেদন দায়ের করেন।
গত বছরের ২৭ ফেব্রুয়ারি সারাদেশে জাতীয়করণকৃত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪৮ হাজার ৭২০ শিক্ষকের টাইম স্কেল ফেরত দিতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের পরিপত্র নিয়ে জারি করা রুল খারিজ করে দেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারি করা পরিপত্রের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালে রিটকারীরা চাইলে মামলা করতে পারবে বলে আদেশ দেন আদালত। বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।
গত বছরের ১৩ জানুয়ারি সারাদেশে জাতীয়করণ করা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪৮ হাজার শিক্ষকের টাইম স্কেলের রিট মামলা তিন সপ্তাহের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে নির্দেশ দেন বিচারপতি জে বি এম হাসানের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ।
উল্লেখ্য, ২০১৩ খ্রিষ্টাব্দের ৯ জানুয়ারি জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে প্রাথমিক শিক্ষক সমাবেশে দেশের ২৬ হাজার ১৯৩টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত ১ লাখ চার হাজার ৭৭২ জন শিক্ষকের চাকরি জাতীয়করণের ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে রাষ্ট্রপতির আদেশে পরিপত্র ও গেজেট প্রকাশ করা হয়। সেই পরিপত্র ও গেজেটের পর জাতীয় প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা সরকারের আর্থিক সুবিধা গ্রহণ করে আসছিলেন।
কিন্তু গত বছর ১২ আগস্ট অর্থ মন্ত্রণালয় ৪৮ হাজার ৭২০ জন শিক্ষকের টাইম স্কেল ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিয়ে পরিপত্র জারি করে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারি করা পরিপত্রের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে সংক্ষুব্ধ শিক্ষকরা হাইকোর্টে রিট করেন। রিটের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট পরিপত্র স্থগিত করে রুল জারি করেন। রুলে শিক্ষকের টাইম স্কেল ফেরত দিতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের পরিপত্র কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়। এর বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ।