খুলনা বিভাগে ১৯৬১ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নেই

স্টাফ রির্পোটার: পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (পিএসসি) অনুমোদন না পাওয়া ও বঞ্চিতদের মামলায় খুলনা  বিভাগের ৬০ উপজেলার প্রায় দু’হাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। ফলে এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।

খুলনা বিভাগীয় প্রাথমিক শিক্ষা উপ-পরিচালক কার্যালয়ের তথ্য মতে, সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকরা দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মকর্তার মর্যাদা পাচ্ছেন। এ কারণে তাদের পাবলিক সার্ভিস কমিশনের অনুমতির প্রয়োজন। কিন্তু এই অনুমতি না মেলায় পুরাতন ও নতুন জাতীয়করণ করা খুলনা বিভাগের ৬০টি উপজেলায় এক হাজার ৯৬১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে।

সূত্র জানায়, খুলনা জেলার ৯ উপজেলায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মঞ্জুরিকৃত প্রধান শিক্ষকের পদের সংখ্যা এক হাজার ১১২টি। সেখানে কর্মরত রয়েছেন  ৮৭১জন এবং শূন্য রয়েছে  ২৪১টি। বাগেরহাটের ৯ উপজেলায় মঞ্জুরিকৃত পদের সংখ্যা এক হাজার ১৪৬ জন। সেখানে কর্মরত রয়েছেন ৮১৮জন এবং শূন্য পদ রয়েছে ৩২৮টি। সাতক্ষীরায় সাতটি উপজেলায় মঞ্জুরিকৃত পদের সংখ্যা এক হাজার ৫০টি। কর্মরত রয়েছেন ৭৭২জন এবং শূন্য রয়েছে ২৭৮টি। যশোরের আটটি উপজেলায় মঞ্জুরিকৃত পদের সংখ্যা এক হাজার ২৩৪টি। কর্মরত রয়েছেন ৯১৮জন এবং শূন্য রয়েছে ৩১৬টি। ঝিনাইদহের ছয়টি উপজেলায় মঞ্জুরিকৃত পদের সংখ্যা ৮৫৩ টি। কর্মরত রয়েছেন ৬৫৯ জন এবং শূন্য রয়েছে ১৯৪টি। মাগুরার চারটি উপজেলায় মঞ্জুরিকৃত পদের সংখ্যা ৪৯৪টি। কর্মরত রয়েছেন ৩৬১ জন এবং শূন্য রয়েছে ১৩৩টি। নড়াইলের তিনটি উপজেলায় মঞ্জুরিকৃত পদের সংখ্যা ৪৮১টি। কর্মরত রয়েছেন ৩৫৭জন ও শূন্য রয়েছে ১২৪টি।  কুষ্টিয়ার ছয়টি উপজেলায় মঞ্জুরিকৃত পদের সংখ্যা ৭৬৬টি। কর্মরত রয়েছে ৬০২জন এবং শূন্য রয়েছে ১৬৪টি। চুয়াডাঙ্গায় চারটি উপজেলায় মঞ্জুরিকৃত পদের সংখ্যা  ৪২৬টি। কর্মরত রয়েছেন ২৮৭ জন এবং শূন্য রয়েছে ১৩৯টি এবং মেহেরপুরের তিনটি উপজেলায় মঞ্জুরিকৃত পদের সংখ্যা ৩০০টি। সেখানে কর্মরত রয়েছেন ২৩০ জন ও শূন্য পদ রয়েছে ৭০টি।

খুলনা বিভাগীয় প্রাথমিক শিক্ষা উপ-পরিচালক কার্যালয় সূত্র জানায়, অনেক সিনিয়র শিক্ষক দীর্ঘদিন পদোন্নতি না পেয়ে আদালতে মামলা করেছেন। মামলা নিষ্পত্তি না হবার কারণে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে না। শূন্য পদে প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার জন্য ইতিপূর্বে প্রতিটি জেলার প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয় হতে পাবলিক সার্ভিস কমিশনে (পিএসসি) নামের তালিকা পাঠানো হয়েছে। এ তালিকা অনুমোদন পেলেই এ শূন্য পদ পূরণ হবে। সূত্রমতে, কয়রা উপজেলার সাতটি বিদ্যালয়ের সাতজন সিনিয়র শিক্ষক পদোন্নতি  না পেয়ে উচ্চ আদালতে  মামলা করেন। – See more at:
Facebooktwitterredditpinterestlinkedinby feather
Image Not Found

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।