কিন্ডারগার্টেনের নিবন্ধন প্রক্রিয়া দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি

কিন্ডারগার্টেন স্কুলসহ বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর নিবন্ধন প্রক্রিয়া দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন ঐক্য পরিষদ।

রাজধানীর সেগুনবাগিচায় শনিবার (২৯ অক্টোবর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) ঐক্য পরিষদের এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।

নার্সারি, প্রিপারেটরি ও কিন্ডারগার্টেন স্কুলগুলোকে নিবন্ধনের আওতায় আনতে ২০১১ সালে বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নিবন্ধন বিধিমালা জারি করে সরকার। কিন্তু এ ধরণের বেশিরভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এখনও নিবন্ধনের আওতায় আসেনি।

ঐক্য পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান আলী সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আইন অনুযায়ী নিবন্ধনবিহীন কোন স্কুল পরিচালনা করলে ৩ লাখ টাকা জরিমানা বা ৬ মাসের কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে। আইন প্রয়োগ করা হয় না বলেই প্রতিনিয়ত ব্যাঙের ছাতার মতো কিন্ডারগার্টেন স্কুল গড়ে উঠছে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা ইদানিং লক্ষ্য করছি কিছু কিছু সংগঠন ও কিন্ডারগার্টেন স্কুল মানববন্ধন, মিটিং, মিছিল করছে বিদ্যালয় যাতে নিবন্ধন করতে বিলম্ব হয়। তারা পুনরায় দাবি তুলেছেন যাতে ৫০ হাজার টাকা এফডিআর (নিবন্ধনের সময়) করতে না হয়। যেখানে এক লাখ টাকা এফডিআর করার কথা ছিল সেখানে আমাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ৫০ হাজার টাকা করা হয়েছে। সরকার এখানে যথেষ্ট উদারতা দেখিয়েছে।’

গত ৪ বছরে ৬৫ হাজার কিন্ডারগার্টেন স্কুল নিবন্ধিত হওয়ার কথা থাকলেও ৭৫০টি কিন্ডারগার্টেন নিবন্ধিত হয়েছে জানিয়ে সংগঠনের চেয়ারম্যান বলেন, ‘আগামী ৬ মাসের মধ্যে নিবন্ধন বিধিমালা বাস্তবায়নের জোর দাবি জানাচ্ছি। নিবন্ধন না করলে আইন অনুযায়ী শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হোক।’

গত ১৬ আগস্ট বিধিমালা না মেনে অননুমোদিতভাবে গড়ে ওঠা নার্সারি, প্রিপারেটরি ও কিন্ডারগার্টেন স্কুলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বিভাগীয়, জেলা এবং উপজেলা পর্যায়ে টাস্কফোর্স গঠন করেছে সরকার।

শাজাহান আলী বলেন, ‘টাস্কফোর্সকে আমরা স্বাগত জানাই। তবে অযথা যাতে কেউ হয়রানির শিকার না হয় সেই দাবি জানাচ্ছি।

সংবাদ সম্মেলনে নিবন্ধনের আওতায় আসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত উন্নীত, স্কুলগুলোকে সেবামূলক প্রতিষ্ঠান হিসেবে অন্তর্ভুক্ত ও সে অনুযায়ী বিদ্যুৎ বিল নেওয়া, নিবন্ধিত স্কুল আয়করমুক্ত রাখা, সরকারি স্কুলের মতো শিক্ষা উপকরণ বরাদ্দ দেওয়াসহ ১১টি দাবি তুলে ধরা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে ঐক্য পরিষদের মহাসচিব মো. শাহীন পারভেজসহ অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

Facebooktwitterredditpinterestlinkedinby feather
Image Not Found

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।