আগৈলঝাড়া (বরিশাল) থেকে : বরিশালের আগৈলঝাড়া শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত ডিগ্রী কলেজের ভিপি’র বিরুদ্ধে ডাসার থানার শেখ হাসিনা একাডেমী এন্ড উইমেন্স কলেজের এক আবাসিক ছাত্রীকে মোটরসাইকেলে নিয়ে স্ফূর্তি করার অভিযোগ সম্পর্কে প্রকৃত তথ্য জানালেন কথিত অভিযুক্ত ভিপি, উপজেলা যুবলীগ সভাপতি ও কয়েকজন ছাত্রলীগ নেতা।
উপজেলা যুবলীগ সভাপতি মো. সাইদুল সরদার জানালেন, আগৈলঝাড়া উপজেলা সদরের শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাত ডিগ্রী কলেজ ছাত্র সংসদের ভিপি রাজীব ঘটক রোববার তার নিজ গ্রাম উপজেলার বড় বাশাইল গ্রামের ভক্তরঞ্জন গাইনের মেয়ে স্বর্ণা গাইনের সাথে প্রায় ৬বছর যাবৎ প্রেমের সম্পর্ক চালিয়ে আসছে। সে ডাসার থানার শেখ হাসিনা একাডেমী এন্ড উইমেন্স কলেজের একাদশ শ্রেণীর আবাসিক ছাত্রী। ঘটনাটি উভয়ের পরিবারই অবগত আছে। ইদানিং রাজীবের ছাত্র রাজনীতিতে ভাইটাল পোস্ট একটা পাওয়ায় স্থানীয় একটি কুচক্রী মহল তার এই রাজনৈতিক উত্তরণে ঈর্ষাকাতর হয়ে প্রকৃত ঘটনা বাদ দিয়ে রং চড়িয়ে কল্পকাহিনী ছড়াচ্ছে। তারা স্বর্ণার বাবাকে জিম্মি করে দলীয় লোকজনের কাছে নালিশ দেওয়াচ্ছে। আমি নিজে মেয়ের বাবা-মা এবং মেয়ের সাথে কথা বলেছি। স্বর্ণার বাবা-মা শুধু চেয়েছিল সম্পর্কটা ছিন্ন করতে। কোন নালিশী বিচার-ব্যবস্থা নিতে নয়। অতিউৎসাহী কেউ কেউ রং চড়িয়ে তিলকে তাল করেছে। ওই মেয়ের সাথে প্রেমের সম্পর্ক থাকলেও তাতে অনৈতিক কোন ঘটনা ঘটেনি।
একই ঘটনা জানালেন নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক উপজেলা পর্যায়ের বেশ কয়েকজন ছাত্রলীগ নেতা। এদিকে মিথ্যা ঘটনার সাথে জড়িয়ে দেওয়ায় ভীষণভাবে মুষ্ড়ে পরেছেন কলেজ ভিপি রাজীব ঘটক। তার দাবি- আমি যদি কোন অপরাধ করে থাকি তাহলে আমার স্থানীয় গ্রামবাসী ও দলীয় মুরুব্বীরা বিচার করে তা সনাক্ত করতে পারলে আমি যেকোন শাস্তির জন্য প্রস্তুত আছি। ওই মেয়ের সাথে দীর্ঘদিন ধরে আমার সর্ম্পক রয়েছে। তাকে কলেজ থেকে নিয়ে ডাসার বাজার থেকে কিছু জিনিসপত্র কিনতে দেরী হওয়ায় কলেজ হস্টেলে না দিয়ে বাড়িতে পৌঁছে দেয়া হয়েছে।
by