নিজস্ব প্রতিবেদক | : ‘স্কুলই এসএসসি পর্যন্ত সার্টিফিকেট দেবে। বিশ্বব্যাপী এটাই স্বীকৃত নিয়ম। ১০ বছর ধরে যাঁরা শিক্ষার্থীদের পড়াচ্ছেন, তাঁরাই তাদের মূল্যায়ন করবেন। আর স্কুলের মূল্যায়ন করবে সমাজ। এসএসসির পর শিক্ষার্থীরা যেখানে যাবে, তখন তারাই পরীক্ষা করে নেবে, সে উপযুক্ত কি না। আর স্কুলের অধীনে পরীক্ষা হলে শিক্ষক-শিক্ষার্থী সবাই নিজেদের দায়িত্ববোধ থেকে চলবে।’
শুক্রবার (২৩ মার্চ) ‘প্রশ্নপত্র ফাঁসরোধে স্বল্পমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি করণীয়’ শীর্ষক এক সেমিনারের মূল প্রবন্ধে এমন প্রস্তাব তুলে ধরেন অধ্যাপক এ এন রাশেদা। রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এ সেমিনারের আয়োজন করে।
প্রবন্ধে বলা হয়, ‘শিক্ষার্থীরা ষাণ্মাষিক ও বার্ষিক—বছরে দুটি পরীক্ষা দেবে। এ ছাড়া প্রতি মাসে প্রতি বিষয়ে অবশ্যই কুইজ হবে। কুইজের ২০ শতাংশ নম্বর যোগ হবে ষাণ্মাষিক ও বার্ষিক পরীক্ষায়। শিক্ষার্থীদের সারা বছর লেখাপড়া অব্যাহত রাখার স্বার্থে জাতীয় দিবস পালনসহ প্রতিষ্ঠানে সাংস্কৃতিক সপ্তাহ, বিজ্ঞান মেলা, ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, শিক্ষা সফর প্রভৃতি অবশ্যই পালনীয় হিসেবে থাকতে হবে। ১০ বছরের শিক্ষা রিপোর্টের অর্জিত মার্কসের ১০ শতাংশ শেষ রিপোর্টে যুক্ত করতে হবে।’
অধ্যাপক শহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে সেমিনারে অন্যদের মধ্যে অধ্যাপক মোহাম্মদ আবু সাঈদ, সাংবাদিক প্রণব সাহা, অধ্যাপক এম এম আকাশ, অধ্যাপক এম শামসুল আলম, সংবাদের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক খন্দকার মুনিরুজ্জামান, অধ্যাপক নুসরাত সুলতানা, অধ্যাপক আ মু মুয়াজ্জাম হুসেন প্রমুখ বক্তব্য দেন।
অধ্যাপক এম এম আকাশ বলেন, ‘দেশে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়লেও মান বাড়েনি। কারণ এ জন্য একটা ইউনিফর্ম সিস্টেম প্রয়োজন। আর সেটা করতে গেলে টাকার প্রয়োজন। কিন্তু জিডিপিতে শিক্ষায় বরাদ্দ বাড়ার বদলে কমছে।’
অধ্যাপক শামসুল আলম বলেন, ‘শিক্ষায় জরুরি অবস্থা চলছে। যাঁরা স্কুল-কলেজ পরিচালনা করছেন তাঁরা নিজেরাই কিছু জানেন না। তাহলে শিক্ষার মান উন্নতি হবে কিভাবে? বুয়েটকে পর্যন্ত ব্যবসায় নামানো হয়েছে। তারা পদ্মা সেতুর কাজও করছে। তাহলে শিক্ষার উন্নয়নে তারা সময় দেবে কিভাবে?’
খন্দকার মুনিরুজ্জামান বলেন, ‘আমাদের আমলা, রাজনীতিবিদদের সন্তানেরা এ দেশে পড়ে না। তাই বাংলাদেশের শিক্ষার ব্যাপারে তাঁদের কোনো আগ্রহও নেই। অথচ তাঁরা আবার শিক্ষা সংস্কারে নেতৃত্ব দিচ্ছেন।’