এখন থেকে প্রতি বছর বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি

ঢাকা: বিসিএস পরীক্ষার মাধ্যমে ক্যাডার এবং নন-ক্যাডার পদে জনবল নিয়োগ প্রক্রিয়া দ্রুততার সঙ্গে সম্পন্ন করার বিভিন্ন উদ্যোগের কথা জানিয়েছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)।

কমিশনের চেয়ারম্যান ইকরাম আহমেদ পরীক্ষার আবেদন গ্রহণ প্রক্রিয়া থেকে শুরু করে ফলাফল প্রকাশ ও নিয়োগের সুপারিশ করা পর্যন্ত বিভিন্ন পর্যায়ে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যাপক ব্যবহারের কথা জানিয়েছেন।

এখন প্রতি বছরই বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা সম্ভব হবে বলে শিক্ষাবার্তার সঙ্গে আলাপকালে আশা প্রকাশ করেছেন পিএসসি চেয়ারম্যান ইকরাম আহমেদ।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের চাহিদা অনুযায়ী ক্যাডার এবং নন-ক্যাডারের বিভিন্ন পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে আসছে সরকারি কর্ম কমিশন। কিন্তু উভয় পদেই নিয়োগে আড়াই থেকে তিন বছর পর্যন্ত সময় লেগে যায়। প্রতি বছর বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করছে না পিএসসি।

সম্প্রতি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে পিএসসি’র মাধ্যমে প্রজাতন্ত্রের সিভিল সার্ভিস (বিসিএস) এবং নন-ক্যাডার পদে উপযুক্ত প্রার্থী মনোনয়নের তিন স্তর বিশিষ্ট নিয়োগ পরীক্ষার ধারাবাহিক পদ্ধতি পর্যালোচনা করা হয়।

জাতীয় সংসদ ভবনে গত ২৪ মার্চ অনুষ্ঠিত কমিটির সভায় বিসিএস পরীক্ষার প্রথম ধাপ প্রিলিমিনারি পরীক্ষা ওএমআর পদ্ধতিতে গ্রহণ করে দ্রুততম সময়ে ফল প্রকাশ এবং বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সহযোগিতায় প্রশ্নব্যাংক প্রণয়নের সুপারিশ করা হয়।

সিভিল সার্ভিসে লোকবল নিয়োগের এই দীর্ঘসূত্রতার মধ্যে সঙ্গে আলাপকালে পিএসসি চেয়ারম্যান বলেন, ক্যাডার ও নন-ক্যাডারসহ সামগ্রিক নিয়োগের ক্ষেত্রে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যাপক ব্যবহার করতে পারছি।

‘বিসিএস ছাড়াও সমমানের অন্যান্য পরীক্ষার জন্য অনলাইনে আবেদনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এখন ঘরে বসেই আবেদন ফরম পূরণ করতে পারছেন প্রার্থীরা। এসএমএসের মাধ্যমে পরীক্ষার ফি প্রদান ও প্রবেশপত্র মিলছে ঘরে বসেই। ফলে বাছাই প্রক্রিয়ায় আগের চেয়ে ৩/৪ জন কম লোকবলের প্রয়োজন হয়’।

দুই লক্ষাধিক বিসিএস পরীক্ষার্থীর জন্য প্রশ্নপত্র তৈরিতে বিলম্বের কারণেও নিয়োগ প্রক্রিয়ায় দীর্ঘসূত্রতা তৈরি হয়।

পরীক্ষার প্রশ্নপত্র তৈরি, মডারেশন করে নিজস্ব প্রেস না থাকায় মুদ্রণে দেরি হয় স্বীকার করে পিএসসি চেয়ারম্যান বলেন, বিকল্প হিসেবে অফিসেই কিছু কিছু প্রশ্নপত্র তৈরি করা হচ্ছে।

আগামীতে কমিশন অফিসে প্রশ্নপত্র ছাপানোর চিন্তা করা হচ্ছে বলেও জানান পিএসসি চেয়ারম্যান।

‘বিসিএস পরীক্ষার হলে আঞ্চলিক কেন্দ্রে সমস্যা তৈরি হলে মনিটরিং কমিটির আহ্বায়ক জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে সঙ্গে সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে। এজন্য পরীক্ষা নিখুঁতভাবে নেওয়া সম্ভব হচ্ছে’।

‘প্রিলিমিনারি পরীক্ষার উত্তরপত্র (ওএমআর শিট) যাতে অদল-বদল না হয় বা নিখুঁত করার জন্য বারকোড ব্যবহার করা হয়। তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহারে তার সাফল্য পাওয়া যাচ্ছে’- বলেন পিএসসি চেয়ারম্যান।

‘ফলাফল দ্রুত প্রকাশের জন্য আইসিটি সেল অত্যন্ত শক্তিশালী করা হয়েছে, প্রিলিমিনারির ফল দ্রুত প্রসেসিং করা হচ্ছে। আগামীতে আইসিটির ব্যবহার আরও বাড়ানো হবে। যেন সঠিকভাবে সঠিক সময়ে ফল দিতে পারি’।

প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের প্রায় অর্ধলাখ প্রার্থীর লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হয় ঢাকাসহ আঞ্চলিক কেন্দ্রগুলোতে। লিখিত পরীক্ষাও দীর্ঘায়িত হয়ে আসছে।

এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে পিএসসি চেয়ারম্যান বলেন, আইসিটির ব্যাপকতর ব্যবহার করে আগামীতে লিখিত পরীক্ষা নেওয়া যায় কি না- সে চিন্তা করছি।

ইকরাম আহমেদ বলেন, ক্যাডার পদে নিয়োগের জন্য চাহিদা আসামাত্র সঙ্গে সঙ্গে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করছি।

Facebooktwitterredditpinterestlinkedinby feather
Image Not Found

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।