অষ্টম শ্রেণির রেজিস্ট্রেশনের সর্বনিম্ন বয়স ১১ বছর নির্ধারণ করা হয়েছে। ১১ বছর পূর্ণ না হলে শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন করা যাবে না। আর এ শ্রেণির রেজিস্ট্রেশনে সর্বোচ্চ বয়স নির্ধারণ করা হয়েছে ১৭ বছর। তবে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন বা প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীরা সর্বোচ্চ ২২ বছর বয়স পর্যন্ত অষ্টম শ্রেণির রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন।
আগামীকাল শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) থেকে অষ্টম শ্রেণির রেজিস্ট্রেশন শুরু হবে। রেজিস্ট্রেশন বিজ্ঞপ্তিতে শিক্ষার্থীদের বয়সের বিষয়টি জানিয়েছে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বোর্ড।
আরো পড়ুন: অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন শুরু কাল
রেজিস্ট্রেশন বিজ্ঞপ্তিতে বোর্ড জানিয়েছে, জেএসসি পরীক্ষার বছরের ১ জানুয়ারি পরীক্ষার্থীদের নূন্যতম বয়স ১১ বছরের বেশি হতে হবে এবং ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সর্বোচ্চ ১৭ বছর। তবে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন বা প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে এ বয়সসীমা সর্বোচ্চ ২২ বছর। প্রসঙ্গত, শিক্ষার্থীরা অষ্টম শ্রেণি পড়ার পর ওই বছরের শেষে জেএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ড জানিয়েছে, পাঠদানের অনুমতি ও স্বীকৃতি পাওয়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নামে রেজিস্ট্রেশনের সুযোগ পাবেন। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন করতে ব্যার্থ হলে দায় প্রতিষ্ঠান প্রধানদের ওপর বর্তাব। বোর্ড থেকে অনুমতিবিহীন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী পার্শ্ববর্তী বা কাছের অনুমোদিত নিম্নমাধ্যমিক বা মাধ্যমিক স্কুল বা স্কুল এন্ড কলেজের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন। তবে কোনো অবস্থাতেই পাঠদানের অনুমতিবিহীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা নিজ বিদ্যালয়ের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন করার সুযোগ পাবেন না।
জানা গেছে, ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশনে নির্ধারিত ফি ৭৪ টাকা। এর মধ্যে মূল রেজিস্ট্রেশন ফি ৫০ টাকা ও রেডক্রিসেন্ট ফি ২৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
ঢাকা বোর্ডের ওয়েবসাইটে নির্ধারিত (OMES/eSIF) বাটনে ক্লিক করে ইআইআইএন ও পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করে শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশনের তথ্য দিতে হবে। Dashboard থেকে eSIF JSC ক্লিক করে Payable fees of JSC এ Applicant name, mobile no. এবং Number of Student দিয়ে Print Sonali Seba এ ক্লিক করে সোনালী সেবার স্লিপটি প্রিন্ট করতে হবে।
ব্যাংকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে পেমেন্ট ক্লিয়ার করলে নির্ধারণকৃত শিক্ষার্থীদের eSIF পূরণ করা যাবে। পেমেন্ট ক্লিয়ারের পুনরায় সোনালী সেবার স্লিপ বের করতে পারবেন প্রতিষ্ঠান প্রধানরা।
শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশনের তথ্য আপলোড করতে স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের সমন্বয়ে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি রেজিস্ট্রেশন কমিটি গঠন করতে হবে। অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন হওয়ার পর চূড়ান্ত তালিকা ফাইনাল সাবমিটের আগে কমিটির সদস্যদের দ্বারা ভর্তি ফরম ও সনদের সঙ্গে মিলিয়ে যথাযথভাবে নিশ্চিত হবেন। নিশ্চিত হওয়ার পর ফাইনাল সাবমিট করতে হবে। রেজিস্ট্রেশন হওযার পর চূড়ান্ত তালিকা প্রিন্ট আউট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সংরক্ষণ করতে বলা হয়েছে প্রতিষ্ঠান প্রধানদের।
বোর্ড বলছে, নতুন পাঠদানের অনুমতি পাওয়া নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় (যেসব প্রতিষ্ঠান ইতোপূর্বে নিজ নামে জেএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়নি) ব্যানবেইস থেকে ইআইআইএন সনদ সংগ্রহ করার পর সোনালী ব্যাংকের সোনালী সেবার মাধ্যমে ১ হাজার ৫০০ টাকা জমা দিয়ে বোর্ডের স্কুল শাখার মাধ্যমে লগইন পাসওয়ার্ড সংগ্রহ করবে।
বোর্ড জানিয়েছে, শিক্ষার্থীর বাবা-মায়ের এসএসসি সনদ থাকলে তাদের মূলসনদ অনুযায়ী বা প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা পাসের সনদ অনুযায়ী বাবা মায়ের নাম এন্ট্রি করতে হবে। শিক্ষার্থীর বাবা মা এসএসসির সনদধারী না হলে হলে জন্মনিবন্ধন সনদ বা জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী বাবা-মায়ের নাম এন্ট্রি করতে হবে। শিক্ষার্থীরা নামের আগে মিস্টার, মিসেস, শ্রী, শ্রীমতি ইত্যাদি থাকলে তা ব্যবহার করা যাবে না। সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের স্বীকৃতি হালনাগাদ থাকতে হবে।
বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে সব তথ্য নিশ্চিত হয়ে ডাটা এন্ট্রি করতে হবে। নির্ধারিত তারিখের মধ্যে শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন করতে না পারলে এর দায় প্রতিষ্ঠান প্রধানকে নিতে হবে। হালনাগাদ স্বীকৃতি নবায়ন নেই এ ধরণের কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন করলে পরবর্তীতে রেজিস্ট্রেশন সংক্রান্ত বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।