যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান সংকট নিরসনের জন্য শিক্ষার্থীদের আলোচনার টেবিলে আসার আহ্বান জানিয়েছেন উপাচার্য মো. আবদুস সাত্তার। গতকাল সোমবার যশোর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি এ আহ্বান জানান।
সম্মেলনে আবদুস সাত্তার লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। তিনি বলেন, কয়েকটি গোষ্ঠী ছাত্রদের ব্যবহার করে বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থিরতা সৃষ্টির জন্য তৎপর রয়েছে। তারা ছাত্রদের ভুল বুঝিয়ে আলোচনার টেবিলে আসতে দিচ্ছে না। অথচ আলোচনা ছাড়া চলমান সংকট নিরসনের কোনো পথ খোলা নেই।
উপাচার্য আবদুস সাত্তার আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সাবেক শিক্ষক বর্তমানে বান্দরবানে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে কর্মরত। তিনি ফেসবুকে একটি পেজ খুলে বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম ও লোগো ব্যবহার করে ছাত্রদের উসকানি দিয়ে স্ট্যাটাস দিচ্ছেন। এ বিষয়ে তথ্যপ্রযুক্তি আইনে দুটি মামলা করা হয়েছে। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশে ছাত্রাবাস খুলে ইসলামী ছাত্রশিবিরের রাজনীতি বিস্তারের জন্য একটি গোষ্ঠী সক্রিয় রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের চারপাশ মাদকের স্বর্গরাজ্য। এ কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৫ একর সীমানার বাইরে চরম অস্থিরতা বিরাজ করে। এ পরিস্থিতিতে ছাত্রদের ভুল পথে চালিত হওয়ার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। এ ক্ষেত্রে তিনি পুলিশ প্রশাসনের কঠোর নজরদারির আহ্বান জানান।
লিখিত বক্তব্যে উপাচার্য আবদুস সাত্তার বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন রিজেন্ড বোর্ডের সভায় শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে পাঁচজন ছাত্র ও একজন কর্মচারীকে বহিষ্কারের সুপারিশ গ্রহণ করা হয়েছে। আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য তাঁদের নোটিশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তাঁরা নোটিশের জবাব না দিয়ে ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন করে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। তাঁদের বারবার আলোচনায় বসার আহ্বান জানানো হয়েছে। তাঁরা সে আহ্বানে সাড়া দেননি। সংকট নিরসনের জন্য কাল বুধবার রিজেন্ড বোর্ডের বৈঠক ডাকা হয়েছে। ওই বৈঠকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ আবুল হোসেন, রেজিস্ট্রার আহসান হাবিব, ইংরেজি বিভাগের চেয়ারম্যান মনিবুর রহমান, মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান প্রমুখ।
বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে ১৫ দিনের গ্রীষ্মকালীন ছুটি চলছে। ১১ মে ছুটি শেষ হবে।